ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা যায় কিভাবে
ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা যায় কিভাবে?: আজকে আমরা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছি। আজকে আমরা
ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা যায় কিভাবে? এ সম্পর্কে জানতে আজকে আমাদের তথ্য বহুল আলোচনাটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা যায় কিভাবে?
ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা যায় কিভাবে?: আজকে আমরা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছি। আজকে আমরা আপনাদের জানাবো youtube থেকে টাকা আয় করা যায় কিভাবে। অনেকেই আপনাদের চারপাশে দেখে থাকবেন যুবক ছেলে-মেয়েরা ইউটিউব থেকে অনেক টাকা আয় করছে।
এমনও দেখা যায় যে, কেউ কেউ ইউটিউব থেকে আয় করা টাকা দিয়ে বড় বড় বিজনেস শুরু করে দিয়েছে। আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে youtube থেকে আবার কিভাবে আয় করা যায়? এটা তো শুধুমাত্র একটি ভিডিও দেখার মাধ্যম। এখান থেকে আবার টাকা আয় করা যায় নাকি? আমরা আজকে আপনার ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণ করে আলোচনা করছি ইউটিউব থেকে আয় করা যায় কিভাবে।
ইউটিউব থেকে টাকা আয় করতে আপনাকে বিশেষ কিছু পন্থা অবলম্বন করা উচিত। ইতিপূর্বে আমরা আপনাদের সামনে আলোচনা করেছিলাম ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়। আপনি আমাদের এই প্রবন্ধ হতে জানতে পারবেন ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়।
তো চলুন আলোচনা শুরু করা যাক। আমরা এবারে পর্যায়ক্রমে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা যায় কিভাবে এসব সম্পর্কে জানব।
ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খুলতে হয়
ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খুলতে হয়: আপনার অনেকেই হয়তো দেখেছেন আশেপাশে অনেক ছেলেমেয়েরা ইউটিউব হতে টাকা আয় করছে। আপনারও মনের কোনায় ইচ্ছা জাগতে পারে আমিও কোন একটা সময় ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন করতে পারব। কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না youtube চ্যানেল কিভাবে খুলতে হয়।
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করার নিয়ম ২০২২
ইউটিউব কিভাবে কাজ করে। এ সকল বিষয় আপনি জানতে চাইলে আজকে আমাদের প্রবন্ধটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তবে আপনি youtube হতে কিভাবে টাকা আয় করতে পারবেন তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা জানতে পারবেন।
তো চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক কিভাবে google এর মাধ্যমে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হয়।
১. প্রথমে আপনার ফোনের ব্রাউজারে গিয়ে youtube.com এ যান।
২. এরপর স্ক্রিনে দেখানো সাইন ইন বাটনটিতে ক্লিক করুন।
৩. সাইন ইন বাটনটিতে ক্লিক করার পরে আপনি স্ক্রিনে দেখতে পারবেন ইমেইল আইডি দেওয়ার মত একটি বক্স চলে এসেছে। সেখানে আপনার ইমেইলটি বসান।
৪. পরবর্তী পাতায় ইমেইল এর পাসওয়ার্ডটি প্রদান করুন।
এভাবেই সহজে একটি ইউটিউব চ্যানেল ইউটিউব একাউন্ট ক্রিয়েট করা সম্ভব।
ইউটিউব থেকে আয় করার পদ্ধতি
ইউটিউব থেকে আয় করার পদ্ধতি: ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার জন্য বিশেষ কিছু পদ্ধতি আপনি অবলম্বন করতে পারেন। আজকে আমরা আপনাদের সামনে এ সকল পদ্ধতির কিছু অংশ আলোচনা করছি। যা থেকে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে আপনি ইউটিউব থেকে টাকা আয় করতে পারেন।
ইউটিউব একাউন্ট/চ্যানেল: প্রথমত আপনার যেটি প্রয়োজন সেটি হচ্ছে ইউটিউবে আপনার একটি চ্যানেল। যেখানে আপনি ভিডিও আপলোড করতে পারবেন। এবং আপনাকে নির্দিষ্ট কোন বিষয়ের উপরে ভিডিও তৈরি করতে হবে। যাতে করে আপনি দর্শকদের আকর্ষণীয়তা পেতে পারেন। আপনি যদি দর্শকদের আকর্ষণ করতে না পারেন। তবে আপনার ভিডিওতে ভিউ পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। আর এতে আপনি কোন আয় করতে পারবেন না।
ক্যামেরা: ভিডিও সংগ্রহ করতে হলে আপনার অবশ্যই একটি মানসম্পন্ন ক্যামেরা থাকতে হবে। কেননা মানসম্পন্ন ক্যামেরা ছাড়া আপনি মানসম্মত ভিডিও ধারণ করতে পারবেন না।
আর যে সকল ব্যক্তিবর্গ আপনার ভিডিও দেখবে। তারা অবশ্যই মানসম্মত ভিডিও চাইবে। আর মানসম্মত ভিডিও ছাড়া তারা একবার একটি ভিডিও দেখার পরে পরবর্তীতে আপনার ভিডিওটি আর দেখতে চাইবে না। কেননা আপনার মত আরও অনেকেই আছে যারা মানসম্মত ভিডিও তাদের চ্যানেলে আপলোড করেছেন।
ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়?
চ্যানেল সাবস্ক্রাইবার: ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করতে হলে, আপনাকে অবশ্যই ১০০০ বা এর চেয়ে বেশি সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে এমনটি নয়।
যে আপনি যত সাবস্ক্রাইবার বাড়াবেন তত আয় করতে পারবেন। তবে আপনার সাবস্ক্রাইবার এর বিশালতার সাথে আপনার ভিডিওর ভিউয়ের বিশালতা বাড়তে থাকবে। এবং যত ভিউ হবে আপনি তত আয় করতে পারবেন।
৪০,০০০ মিনিট ভিউ: youtube থেকে এডসেন্স পেতে হলে আপনাকে প্রথমত আপনার আপলোডকৃত ভিডিওতে ৪০ হাজার মিনিট ভিউ থাকতে হবে। তবে আপনি youtube থেকে স্বীকৃতি অর্থাৎ youtube এডসেন্স পেতে পারেন।
মনিটাইজেশন: আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে অর্থাৎ youtube স্টুডিও থেকে মনিটাইজেশন বিভাগে গিয়ে চ্যানেল হতে বিজ্ঞাপন দেখানো সিলেক্ট করতে পারবেন। এখান থেকেই আপনি আপনার ড্যাশবোর্ডে প্রতি মাসে কত টাকা আয় অর্থাৎ রোজগার হয়েছে তা দেখে নিতে পারবেন।
ইউটিউব প্রিমিয়াম: আপনি যদি ইউটিউব থেকে একবার রোজগার বা আয় করতে পারেন। তবে আপনি ইউটিউব প্রিমিয়ামে জয়েন বা সাইন আপ করতে পারবেন। এতে করে আপনার ইউটিউব সাবস্ক্রাইবাররা চাইলেই আপনাকে অতিরিক্ত টাকা প্রদান করে বিজ্ঞাপন ছাড়াই ভিডিও দেখতে পারবে। এতে আপনি সাবস্ক্রাইবারদের মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা আয় করতে পারবেন। যার জন্য আপনাকে ইউটিউব প্রিমিয়াম হতে হবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার আয় রোজগার আরো বাড়াতে পারেন। আমাদের পূর্ববর্তী আলোচনায় আপনি জেনেছেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি। ইউটিউবেও আপনি একইভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং এ জয়েন করতে পারেন। এবং এখান থেকেও আপনি অতিরিক্ত টাকা আয় করতে পারেন।
উপরের আলোচনায় আপনারা হয়তো জানতে পেরেছেন কিভাবে youtube এ একাউন্ট করে বা চ্যানেল ক্রিয়েট করে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারেন।
এবারে বিশেষ কিছু কার্যক্রম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:
ইউটিউবের জন্য গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব কিভাবে?
ইউটিউবের জন্য গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব কিভাবে?: অনেকেই আমাদের কাছে সরাসরি জানতে চেয়েছিলেন ইউটিউবের জন্য গুগল এডসেন্স একাউন্ট কিভাবে খোলা যায়। আপনারা যারা এ সম্পর্কে জানতে চান তারা আমাদের আজকের এই প্রবন্ধ হতে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আর এজন্য আপনাকে আজকে প্রবন্ধটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলতে মূলত আপনার তিনটি জিনিস প্রয়োজন তা হল:
১.একটি google একাউন্ট
২.আপনার নির্দিষ্ট ফোন নাম্বার ও ঠিকানা এবং যেটি আপনার ব্যাংক একাউন্টের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে
৩.সাইটের সাথে এডসেন্স যুক্ত করা
মূলত এডসেন্স একাউন্ট ছাড়া সরাসরি ইউটিউব থেকে আপনি কোন টাকা আয় করতে পারবেন না। google এবং youtube থেকে আপনি যে সকল টাকা অর্থাৎ ডলার আয় করবেন। তার সবটুকুই এই এডসেন্স একাউন্টে যুক্ত হয়। ১০০ ডলারের নিচে আপনি কোন ডলার তুলতে পারবেন না।
এডসেন্স একাউন্ট মূলত গুগল এডসেন্স থেকে খুলতে হয়। তবে আপনি যেহেতু ইউটিউব এডসেন্স চান যার জন্য আপনাকে ইউটিউব হতেই এডসেন্স একাউন্ট খুলে নিতে হবে।
ইউটিউব এডসেন্স খুলতে ইউটিউব এ গিয়ে এডসেন্স একাউন্টে আপনার জিমেইল দিয়ে সাইনআপ কোড করুন। তবে আপনি জানতে পারবেন আপনার youtube চ্যানেলের জন্য এডসেন্স একাউন্ট খুলতে পারবেন কিনা।
ইউটিউবে জনপ্রিয়তা অর্জন করব কিভাবে?
ইউটিউবে জনপ্রিয়তা অর্জন করব কিভাবে?: মূলত youtube এর মাধ্যমে টাকা আয় করতে হলে আপনাকে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে হবে। এ সকল অনলাইন প্লাটফর্মে আপনি যত জনপ্রিয় হতে পারবেন। আপনার পণ্য তত সহজে এবং তত দ্রুত বিক্রি হবে। যার জন্য আপনাকে যেটি করতে হবে তা হল, একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এগোতে হবে।
এখন আপনি কোন লক্ষ্যে বা কোন পথে এগোবেন সেটি আপনার নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে কোন একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আপনার এগিয়ে চলা উচিত। যাতে করে আপনি সহজেই আপনার সাবস্ক্রাইবারদের সামনে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারেন।
ইউটিউব স্পন্সরশীপ হতে টাকা আয়
ইউটিউব স্পন্সরশীপ হতে টাকা আয়: আপনি যখন ইউটিউবের একটি চ্যানেলের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারবেন। তখন বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানি কাজ থেকে আপনি স্পন্সরশীপের অফার পেতে পারেন। ইদানিং আপনি লক্ষ্য করে দেখবেন যে, ছোট বড় অনেক ব্র্যান্ড তুলনামূলক বিখ্যাত ইউটিউবারদের স্পন্সার শিপ প্রদান করছে। আর এ সকল স্পন্সার শিপ তুলনামূলক জনপ্রিয় ইউটিউবারদেরকেই দেয়া হয়ে থাকে। যার জন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার সাবস্ক্রাইবারদের সামনে জনপ্রিয় হতে হবে।
দেখুন এখানে
ইউটিউবে গেমিং ভিডিও আপলোড করে অর্থ উপার্জন
ইউটিউবে গেমিং ভিডিও আপলোড করে অর্থ উপার্জন: যতদিন অতিবাহিত হচ্ছে ততই স্পোর্টস অর্থাৎ গেমিং এর প্রতি ছেলেমেয়েদের আসক্তির পরিমাণ বেড়েই চলেছে। আর তাই অনেকেই তাদের ইউটিউব চ্যানেলে গেমিং ভিডিও আপলোড করছে। আর এতে সাড়া পাচ্ছে অন্যান্য ভিডিওর চাইতে অত্যাধিক হারে বেশি। আপনি খেয়াল করে দেখবেন যে ইদানিং মোবাইল গেমসের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে।
পাবজি এবং ফ্রী ফায়ার মত অনলাইন স্টিমিং গেমিং গুলো ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করা হচ্ছে। এতে করে তরুণ ছেলেমেয়েরা এ সকল ভিডিও দেখছে। তবে এ সকল চ্যানেল বা এসকল ভিডিও তৈরি করা অনেকটাই দক্ষতার প্রমাণ। আপনি এ সকল কর্মকান্ডে যত দক্ষ হতে পাবেন আপনার ভিডিও এর ভিউ তত বেশি বাড়তে থাকবে।
শেষ অংশের আলোচনা: পরিশেষে এটাই বলতে চাই যে, আপনারা যারা ইউটিউব এর মাধ্যমে অর্থ আয় করতে চান। তারা নানাবিধ পন্থা অবলম্বন করে ইউটিউব এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আমরা আজকে আপনাদের এ সম্পর্কে বিশেষ কিছু ধারণা প্রদান করতে পেরেছি। এ সম্পর্কে আপনাদের যদি কোন জিজ্ঞাসা থাকে তবে কমেন্ট বক্সে আমাদেরকে সরাসরি জানাতে পারেন। আমরা সর্বত্রই আপনার সকল জিজ্ঞাসা এর উত্তর প্রদান করতে বাধ্য থাকব।