ইন্ডিয়ান ভিসা
প্রিয় Eduinfobd এর পাঠক বৃন্দ। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলে ভালো আছেন। আপনার কি ইন্ডিয়া যাওয়ার ইচ্ছা? বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়ান ভিসা পেতে হলে আপনাকে কি কি করতে হবে, মোট কত টাকা খরচ হবে, কোথায় আবেদন করতে হবে, আবেদন করতে কি কি লাগবে সব বিষয়ে এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। Read in English
ইন্ডিয়ান ভিসার ধরন
ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের জন্য ভারত যেনো এক স্বপ্নের রাজ্য। আবার আমাদের মধ্যে অনেকেই রোগ সংক্রান্ত জটিলতা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ভারতে ভ্রমন করে থাকেন। আমাদের মধ্যে এমন অনেক বাংলাদেশী নাগরিক আছেন যারা তাদের বিয়ের শপিং, বিভিন্ন ধরনের কসমেটিকস ক্রয়, বিভিন্ন ব্যবসায়িক কাজের জন্য ভারতে ভ্রমণ করে থাকেন। ঠিক একইভাবে বিভিন্ন ধরনের কাজের উদ্দেশ্যে লিগ্যাল ইন্ডিয়ান ভিসা নিয়ে প্রতিদিন অনেক বাংলাদেশী নাগরিক ভারতে ভ্রমন করছে। ভারতে যেতে হলে সর্ব প্রথম যে জিনিসটির প্রয়োজন হয় তা হল লিগ্যাল পাসপোর্ট এবং ইন্ডিয়ান ভিসা। তাই ভ্রমণের পূর্বে সবার আগে ভারতীয় ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জেনে নেওয়া খুবই প্রয়োজনীয় একটি বিষয়।
ইন্ডিয়ান ভিসা আবেদন এর নিয়ম
ভারতীয় ভিসার বেশ কয়টি ধরন রয়েছে। উক্ত ভিসা গুলোর খরচ কেমন বা মেয়াদ কালীন সময় কতটুকু। আর উক্ত ভিসাতে আবেদন করতে হলে আপনাকে কি কি নিয়ম মেনে চলতে হবে তা জেনে নেওয়া খুবই জরুরী। আপনাদের মধ্যে যারা ভারতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন তাদের জন্য আজকের আর্টিকেল/পোস্টটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ন হতে চলেছে। কেননা উক্ত আর্টিকেলটিতে আমরা ভারতীয় ভিসা সম্পর্কিত সকল প্রকার বিষয় ও তথ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাহলে দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক
ইন্ডিয়ান ভিসার ধরন, সময়, মেয়াদ
ভারতীয় ভিসার ভিন্ন ভিন্ন ধরন, সময় ও মেয়াদ হয়ে থাকে। এই পোস্টের প্রথম পর্যায়ে আমরা আপনাদের ভারতীয় ভিসার কয়েকটি ধরন নিয়ে, সেই সকল ভিসা প্রসেসিং এর সময়কাল এবং মেয়াদকাল সম্পর্কে জানবো।
নাম্বার ১
ইন্ডিয়ান এম্প্লয়মেন্ট ভিসা | উক্ত ভিসাটি ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রর সাহায্যে অথবা সরাসরি ভিসা আবেদন প্রাপ্তির পরে ভারতীয় মিশন বা পোস্ট এর ক্ষেত্রে জাতীয়তার ওপর নির্ভর করে থাকে। বিভিন্ন বিশেষ ক্ষেত্র গুলো ব্যতীত একটি ইন্ডিয়ান এম্প্লয়মেন্ট ভিসা ইস্যু করার জন্য কমপক্ষে তিন কার্য দিবস সময় এর প্রয়োজন হতে পারে। |
ইন্ডিয়ান এম্প্লয়মেন্ট ভিসার মেয়াদ | ইন্ডিয়ান এম্প্লয়মেন্ট ভিসার মেয়াদ প্রায় দুই বছর থেকে শুরু করে পাচ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। আপনি চাইলে পরবর্তীতে অতিরিক্ত ফি এর মাধ্যমে এই ভিসা রিনিউ করতে পারেন। এরপর ভিসার সময় কাল বৃদ্ধি করতে পারেন। |
নাম্বার ২
ইন্ডিয়ান বিজনেস ভিসা | বাংলাদেশী নাগরিকরা যখন ব্যাবসা সংক্রান্ত কাজের জন্য ভারতে গমন করে থাকেন, তখন ইন্ডিয়ান বিজনেস ভিসার প্রয়োজন হয়। |
ইন্ডিয়ান বিজনেস ভিসার মেয়াদ | ইন্ডিয়ান বিজনেস ভিসার ক্ষেত্রে আবেদন করার চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যেই ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন হয়ে যায়। আপনাদের অবশ্যই বিজনেস ট্রিপ এর ১ সপ্তাহ পূর্বে ভিসা প্রসেসিং এর জন্য আবেদন শুরু করতে হবে। উক্ত ভিসার মেয়াদ কাল বিজনেস ট্রিপের ওপর নির্ভর করে সাধারণত ৩০ দিন থেকে শুরু করে ৬০ দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে। |
নাম্বার ৩
ইন্ডিয়ান প্রজেক্ট ভিসা | উক্ত ভিসাটি যেকোনো প্রজেক্ট এর ক্ষেত্রে দেয়া হবে থাকে। উক্ত ভিসাটি অনেকটা বিজনেস ভিসার মতোই। |
ইন্ডিয়ান প্রজেক্ট ভিসার মেয়াদ | যেকোনো প্রজেক্ট সংক্রান্ত কাজের জন্য ভারতীয় ভিসা প্রসেসিং হতে প্রায় ৩ থেকে ৫ কার্য দিবস এর মতো সময়ের প্রয়োজন হয়। প্রজেক্টটি চলা কালীন আপনি ৩০ দিন থেকে ৬০ দিন পর্যন্ত ভারতে বৈধ ভাবে থাকতে পারবেন। আপনার যদি আরও বেশি দিন থাকার প্রয়োজন হয়, তবে উক্ত ভিসার মেয়াদ কাল অতিরিক্ত ফি এর মাধ্যমে বৃদ্ধি করে নিতে পারবেন। |
নাম্বার ৪
ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা | বাংলাদেশ হতে বাংলাদেশী নাগরিকরা যখন ভারতে টুর করার প্রয়োজন মনে করে তখন তাদের ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার প্রয়োজন হয়। উক্ত ভিসার প্রসেসিং এর জন্য প্রায় ৩ দিন এর মতো সময়ের প্রয়োজন হয়। |
ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসার মেয়াদ | উক্ত টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ কাল প্রায় ৩০ দিন পর্যন্ত থাকে। তবে কিছু কিছু বিশেষ টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে এর মেয়াদ এক থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত ভিসার হয়ে থাকে। |
নামার ৫
ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা | চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজ এর জন্য অন্য কোনো দেশের নাগরিকদের ভারতে ভ্রমন করতে হলে ভারতীয় মেডিকেল ভিসার প্রয়োজন হয়ে থাকে। উক্ত ভিসা প্রসেস হতে প্রায় ১ থেকে ৪ দিন এর মতো সময় প্রয়োজন হয়। |
ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসার মেয়াদ | উক্ত ভিসাটির মেয়াদ কাল প্রায় ৬০ দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে কোনো রোগীর যদি আরও বেশি সময় এর প্রয়োজন হয়, তবে ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করা যায়। |
ইন্ডিয়ান ভিসা করতে কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন হয়
সকল প্রকারের ভিসা করতে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হয়। ভিন্ন ভিন্ন ভারতীয় ভিসার ক্ষেত্রে ডকুমেন্ট এরও বিভিন্ন ভিন্নতা থেকে থাকে। বর্তমানে ভারতীয় ভিসা করতে কি কি ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হতে পারে সেগুলো জেনে নেয়া যাক।
ইন্ডিয়ান এম্প্লয়মেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
ইন্ডিয়ান এম্প্লয়মেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলো হল,
বৈধ পাসপোর্ট | ১। ইন্ডিয়ান এমপ্লয়মেন্ট ভিসার জন্য আপনার পাসপোর্ট এর ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ এর পরে ছয় মাসের জন্য বৈধ হতে হবে। | ২। আর অবশ্যই দুটি ব্ল্যাংক (খালি) মুখোমুখি পৃষ্ঠা থাকতে হবে। | |
ছবি | ১। উক্ত ভিসার জন্য দুটি সামনের দিকে, পাসপোর্ট আকার এর রঙিন ছবি প্রয়োজন হবে। | ২। ছবি গুলো অবশ্যই স্ক্যান করা যাবে না। | ৩। ছবি গুলো অবশ্যই আবেদন পত্রে নির্দেশিত স্থানে আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিতে হবে। কোনো প্রকার পিন ইউজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। | |
ভিসা আবেদনপত্র | ১। ভারতীয় কনস্যুলেট শুধুমাত্র আপনার সেই সকল ফর্মগুলি গ্রহণ করবে যা আপনি অনলাইনে পূরণ করেছেন। | ২। এরপর মুদ্রিত এবং স্বাক্ষর করা হয়েছে এমন ফ্রম গুলি জমা নিবে। | |
একটি সম্পূর্ণ ভিসা আবেদন প্রয়োজন | ১। উক্ত ফর্মটি অবশ্যই এক তরফা প্রিন্ট করতে হবে। | ২। আর ফরম এর পিছন এর সাইড অবশ্যই খালি হতে হবে। | |
মূল কোম্পানির চিঠি | ১। ভিসা সমর্থন লেটারটি আপনাকে অবশ্যই ভারতীয় সংস্থার কোম্পানির লেটার হেডে লিখতে হবে। | ২। চিঠিতে অবশ্যই আপনাকে সকল কোম্পানির নিবন্ধন, ভ্যাট নাম্বার, উক্ত কোম্পানিটির সম্পূর্ণ ঠিকানা আর অবস্থানের সময় কাল অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। | |
অতিরিক্ত তথ্য ফর্ম | ১। ভারতীয় কনস্যুলেটের একটি অতিরিক্ত তথ্য দিতে হয়। | ২। ফর্ম পূরণ করা, স্বাক্ষর করা এবং একটি কর্মসংস্থান ভিসার আবেদনের সাথে জমা দিতে হয়। | ৩।এর সাথে কর্মসংস্থান চুক্তির অনুলিপি জমা দিতে হবে। | ৪। আপনাকে উভয় অংশগ্রহণকারী সংস্থার মধ্যে কর্মসংস্থান চুক্তির একটি অনুলিপি জমা দিতে হবে। | ৫। চুক্তিটি অবশ্যই উভয় পক্ষের দ্বারা স্বাক্ষরিত হতে হবে। | ৬। অবশ্যই কর্মচারীর বেতন রুপিতে উল্লেখ করতে হবে আর এর সাথে আপনাকে ভারতে আয়কর প্রদানের বিষয়ে আলোচনা করতে হবে। | |
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ডোজ এর ফর্ম | ১। আপনার করোনা বা কোভিড ১৯ এর ভ্যাকসিন না নেওয়া হলে বাংলাদেশ থেকে ভারতে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে পারবেন না। | ২। তাই আপনাকে অবশ্যই করোনার ভ্যাকসিন ২ টি ডোজ নিতে হবে। | |
ইন্ডিয়ান বিজনেস ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
ভারতীয় বিজনেস ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলো হলো,
১। লিগ্যাল ডিজিটাল পাসপোর্ট। |
২। পাসপোর্ট সাইজ এর রিসেন্ট তোলা রঙিন ছবি। |
৩। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সনদপত্র। |
৪। কোভিড-১৯ বা করোনার ভ্যাকসিন এর ডোসের সনদ বা সার্টিফিকেট। |
৫। স্পনসর আকামার কপি সমূহ। |
৬। জন্ম নিবন্ধন ফরম। |
৭। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সমূহ। |
৮। বিজনেস সংক্রান্ত সকল প্রকার প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র। |
৯। লিগ্যাল আইডেন্টিটি ডকুমেন্টস সমূহ। |
১০। ব্যাংক এর পেপারস সমূহ। |
১১। ইন্সুইরেন্স এর কাগজ পত্র সমূহ। |
ইন্ডিয়ান প্রজেক্ট ভিসার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
ভারতীয় প্রজেক্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলো হলো,
১। লিগ্যাল ডিজিটাল পাসপোর্ট। |
২। পাসপোর্ট সাইজের রিসেন্ট তোলা রঙিন ছবি। |
৩। বাংলাদেশ এর নাগরিকত্ব সনদপত্র। |
৪। কোভিড-১৯ বা করোনার ভ্যাকসিন এর ডোসের ফরম। |
৫। স্পনসর আকামার কপি। |
৬। জন্ম নিবন্ধন পত্র। |
৭। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সমূহ। |
৮। প্রজেক্ট সংক্রান্ত সকল প্রকার কাগজ পত্র। |
৯। লিগ্যাল আইডেন্টিটি ডকুমেন্টস সমূহ। |
১০। ব্যাংক এর প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র। |
১১। ইন্সুইরেন্স এর পেপারস। |
১২। অফিসিয়াল এপ্লিকেশন কাগজ পত্র। |
ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
ভারতীয় টুরিস্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলো হলো,
১। লিগ্যাল ডিজিটাল পাসপোর্ট। |
২। পাসপোর্ট সাইজ এর রিসেন্ট তোলা রঙিন ছবি। |
৩। বাংলাদেশ এর নাগরিকত্ব সনদপত্র। |
৪। কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন এর ডোসের ফ্রম। |
৫। লিগ্যাল আইডেন্টিটি ডকুমেন্টস সমূহ। |
৬। জন্ম নিবন্ধন সনদ। |
৭। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সমূহ। |
ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
১। লিগ্যাল ডিজিটাল পাসপোর্ট। |
২। পাসপোর্ট সাইজ এর রিসেন্ট তোলা রঙিন ছবি। |
৩। বাংলাদেশ এর নাগরিকত্ব সনদপত্র। |
৪। কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন এর ডোসের ফরম। |
৫। স্পনসর আকামার কপি। |
৬। জন্ম নিবন্ধন সনদ। |
৭। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সমূহ। |
৮। ডাক্তার এর প্রেশক্রিপশন এর কপি। |
৯। লিগ্যাল আইডেন্টিটি ডকুমেন্টস সমূহ। |
১০। ব্যাংক এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। |
১১। ইন্সুইরেন্স এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। |
ইন্ডিয়ান ভিসা করতে কত টাকা প্রয়োজন
প্রতিটি ভারতীয় ভিসার ধরন পাল্টানোর ফলে উক্ত ভিসা তৈরি করার জন্য পেমেন্ট এর কিছু পরিবর্তন হয়ে থাকতে পারে। যা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এখন আপনারা জানবেন ভারতীয় ভিসা প্রসেসিং এর ক্ষেত্রে আপনার কত টাকা প্রয়োজন হবে,
ইন্ডিয়ান এম্প্লয়মেন্ট ভিসার জন্য যত টাকা লাগে
১। ইন্ডিয়ান এম্প্লয়মেন্ট ভিসার ফি (ছয় মাস পর্যন্ত) | টাকার পরিমাণ ৩৯,১০০ টাকা। |
২। ইন্ডিয়ান এম্প্লয়মেন্ট ভিসার ফি (এক বছর পর্যন্ত) | টাকার পরিমাণ ৪২,৫০০ টাকা। |
৩। ইন্ডিয়ান এম্প্লয়মেন্ট ভিসা ফি (এক বছরের বেশি) | টাকার পরিমাণ ৫০,৭৪৫ টাকা। |
বিশেষ দ্রষ্টব্য: ইন্ডিয়ান এম্প্লয়মেন্ট ভিসার জন্য আবেদন ফি বাবদ অতিরিক্ত ১০০ ডলার থেকে ২০০ ডলার পর্যন্ত প্রদান করতে হয়। ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানির এম্প্লয়মেন্ট ভিসার ফি ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।
ইন্ডিয়ান বিজনেস ভিসার জন্য যত টাকা লাগে
১। ইন্ডিয়ান বিজনেস ভিসা ৩০ দিন (একাধিক প্রবেশ) | টাকার পরিমাণ ২,১২৫ টাকা। |
২। ইন্ডিয়ান বিজনেস ভিসা ৯০ দিন (একক প্রবেশ) | টাকার পরিমাণ ২,২৯৫ টাকা। |
৩। ইন্ডিয়ান বিজনেস ভিসা ৯০ দিন (একাধিক প্রবেশ) | টাকার পরিমাণ ৩,৪০০ টাকা। |
৪। ইন্ডিয়ান বিজনেস ভিসা ৬ মাস (একাধিক এন্ট্রি) | টাকার পরিমাণ ৬,৮০০ টাকা। |
৫। ইন্ডিয়ান বিজনেস ভিসা ১ বছর (একাধিক প্রবেশ) | টাকার পরিমাণ ৬,৮০০ টাকা। |
৬। ইন্ডিয়ান বিজনেস ভিসা ৫ বছর (একাধিক এন্ট্রি) | টাকার পরিমাণ ১০,২০০ টাকা। |
ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার জন্য যত টাকা লাগে
১। ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা ৩০ দিন (ডাবল এন্ট্রি) | টাকার পরিমাণ ১,২৭৫ টাকা। |
২। ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা ৯০ দিন (একক প্রবেশ) | টাকার পরিমাণ ১,২৭৫ টাকা। |
৩। ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা ৯০ দিন (ডাবল এন্ট্রি) | টাকার পরিমাণ ২,২৭৫ টাকা। |
৪। ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা ৬ মাস (ডাবল/একাধিক এন্ট্রি) | টাকার পরিমাণ ২, ১২৫ টাকা। |
ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসার জন্য যত টাকা লাগে
ভারতীয় মেডিকেল ভিসা প্রসেসিং ফি | বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভারতীয় মেডিক্যাল ভিসার কোনো প্রকার ফি নেওয়া হয় না। তবে SBI ব্যাংক বা স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া কর্তৃক মেডিকেল ভিসা প্রক্রিয়াকরণের জন্য ৬ থেকে ৭ ডলার নেয়া হয়। যা IVAC-তে গিয়ে জমা দিতে হয়। |
ইন্ডিয়ান ভিসা কিভাবে করতে হয় বা ভিসা করার নিয়ম
বর্তমানে ভারতীয় ভিসা করার বেশ কয়েকটি নিয়ম রয়েছে। তবে তাদের মধ্যে সবচেয়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় নিয়মগুলো হলো,
ইন্ডিয়ান ভিসা পাবার প্রথম ধাপ | ১। প্রথমে যেই ধরন এর ভিসার মাধ্যমে ভারতে ভ্রমণ করতে চাচ্ছেন তা প্রথমে নির্বাচন করুন। | ২। ভিসার আবেদন পত্রের সাথে যে সকল প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করবেন সেগুলো সঠিকভাবে বাছাই করে একত্রে রাখুন। এর পাশাপাশি আবেদনটির ঠিক কত সময় এর মধ্যে প্রসেসিং সম্পন্ন করবে তার বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন। | ৩। ভিসার ফি বাবদ আপনাকে কত টাকা জমা দিতে হবে সে সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন। এর পাশাপাশি ভারতে ভ্রমণ এর জন্য আপনি করোনার ভেক্সিন নিয়েছেন কিনা, সেই সংক্রান্ত সনদটি সংগ্রহ করে জমা দিন। | |
ইন্ডিয়ান ভিসা পাবার দ্বিতীয় ধাপ | ১। ভারতীয় ভিসার জন্য আপনার আবেদন কার্যক্রম শুরু করুন। | ২। আপনাকে অনলাইনের সাহায্যে ভিসার আবেদন পক্রিয়া শুরু করতে হবে। | ৩। সেই জন্য সবার প্রথমে আপনাকে ভিসা আবেদন ফরমটি সঠিক ভাবে ডাউনলোড করে নিতে হবে। | ৪। অবশ্যই ডাউনলোড করা ফরমটি সঠিক ইনফরমেশন দিয়ে পূরন করে নিবেন। | ৫। এরপর মেইন কপি মুদ্রণ করে নিন। | ৬। উক্ত আবেদন ফরম এর মুদ্রণ কপিটি আপনাকে ভিসা আবেদন কেন্দ্র জমা দিতে হবে। সম্পূর্ণ ফরম ও তার সাথে বারকোড এর সাথে ভালো ভাবে সংযুক্ত করা শিট, একটি উন্নত মানের পরিষ্কার ও চকচকে কাগজ এর সাহায্য নিয়ে কপি করে প্রিন্ট করে নিন। | ৭। অবশ্যই আপনাকে আরও একটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। আর তা হলো ভিসা সম্পর্কিত সকল প্রকার গোপনীয়তা মূলক নীতি এবং এর সাথে সম্মতি মূলক ফরম টিও পূরণ করে ভারতীয় ভিসা আবেদন ফরমটির সাথে সংযুক্ত করতে হবে। | ৮। আপনি যদি আপনার ভিসা আবেদন ফরমটি সঠিক ভাবে সংযুক্ত করতে না করতে পারেন, তবে আপনার অ্যাপ্লিকেশনটি গ্রহন করা হবে না। | |
ইন্ডিয়ান ভিসা পাবার তৃতীয় ধাপ | ১। আপনার ভারতীয় ভিসার জন্য প্রযোজ্য পেমেন্ট অথবা ফি ভিসা অফিসে প্রদান করতে হবে। | ২। ভারতীয় ভিসা বাবদ যে পরিমাণ ফি আপনাকে প্রদান বা জমা দিতে হবে তা অবশ্যই সঠিক ভাবে জমা দিবেন। ভিসার ফি আপনাকে আবেদন শেষ হবার পর পরই জমা দিতে হবে। ফি জমা দেয়ার পর মানি রিসিট নিতে কখনও ভুলে যাবেন না। | |
ইন্ডিয়ান ভিসা পাবার চতুর্থ ধাপ | ১। আবেদন শেষে পাসপোর্ট সংগ্রহ করে নিন। | ২। সর্বশেষ ধাপে আপনি ভিসা আবেদন অফিস থেকে আপনার পাসপোর্ট সংগ্রহ করে নিতে পারেন। | ৩। পাসপোর্ট এর সাথে কাগজপত্র গুলো সঠিকভাবে চেক করে সংগ্রহ করে নিন। আপনি যদি সরাসরি ভিসা আবেদন অফিস এ যেতে না চান, তবে পাসপোর্ট এবং অন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ অতিরিক্ত চার্জ প্রদানের মাধ্যমে কুরিয়ার করেও নিয়ে নিতে পারেন। | |
ইন্ডিয়ান ভিসা আবেদন কেন্দ্র এর ঠিকানা
বাংলাদেশ এ অবস্থিত ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র গুলো তে যোগাযোগ এর জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রকার তথ্য ও ঠিকানা নিচে দেয়া হলো,
নাম | ইন্ডিয়ান ভিসা আবেদন কেন্দ্র, ঢাকা (জেএফপি) |
ঠিকানা | ফ্লোর – জি১, সাউথ কোর্ট, যমুনা ফিউচার পার্ক, প্রগতি স্বরণি, বারিধারা, ঢাকা- ১২২৯, বাংলাদেশ। |
তাদের হট লাইন নাম্বার সমূহ | 09 612 333 666, 09 614 333 666 |
ই-মেইল অ্যাড্রেস | info@ivacbd.com |
ওয়েবসাইট | www.ivacbd.com |
নাম | আইভিএসি, মিরপুর ব্রাঞ্চ |
ঠিকানা | আলামিন আপন হাইটস ২৭/ ১/ বি (১ম তলা) শ্যামলী, (শ্যামলী সিনেমা হল এর বিপরীতে) মিরপুর রোড, ঢাকা- ১২০৭। |
তাদের ব্রাঞ্চ এর হট লাইন নাম্বার সমূহ | 09612 333 666, 09614 333 666 |
ইমেল এড্রেস | info@ivacbd.com |
ওয়েবসাইট | www.ivacbd.com |
নাম | আইভিএসি, উত্তরা ব্রাঞ্চ |
ঠিকানা | ঢাকা সেক্টর # ৭, রোড # ১৮, বাড়ি # ৫৬ উত্তরা, ঢাকা-১২৩০, বাংলাদেশ। |
ব্রাঞ্চ এর হট লাইন নাম্বার | 09 612 333 666, 09 614 333 666 |
ই-মেইল অ্যাড্রেস | info@ivacbd.com |
ওয়েবসাইট | www.ivacbd.com |
ইন্ডিয়ান ভিসা সম্পর্কে সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন | উত্তর |
১। ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য কি কি ডকুমেন্টস লাগে? | ভারতে প্রবেশের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন পাবার জন্য ভারতীয় ভিসার প্রয়োজন হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস এর মধ্যে আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট, একটি ইমেল এড্রেস এবং একটি ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের প্রয়োজন হবে৷ |
২। বাংলাদেশ থেকে কি ভারতীয় ভিসা পাওয়া যায়? | হ্যাঁ। বাংলাদেশে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া কর্তৃক পরিচালিত ১২টি ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (IVAC) রয়েছে। ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদনকারী বাংলাদেশী পাসপোর্টধারীদের জন্য কোন ভিসা ফি লাগে না। তবে অন্যান্য বিদেশী নাগরিকদের ভিসা ফি দিতে হয়। |
৩। একজন বাংলাদেশি কি ভারতে চাকরি পেতে সক্ষম? | হ্যাঁ, অবশ্যই। বৈধ নথিপত্র ও উদ্দেশ্য সহ যেকোন বাংলাদেশীকে ভারতে কাজ বা চাকরী করার অনুমতি দেওয়া হয়। |
৪। ভারতীয় ভিসা পাওয়ার বিষয়ে আরও তথ্য কোথায় পাওয়া যাবে? | ভারতীয় ভিসার বিষয়ে আরও তথ্য সংশ্লিষ্ট ভারতীয় মিশন এবং ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (IVAC) এর পাশাপাশি অনলাইন ভিসা পোর্টালে পাবেন। পোর্টাল গুলো হলো, https://indianvisaonline.gov.in/visa/index.html |
ইন্ডিয়ান ভিসা সংক্রান্ত শেষ কথা
ভারতীয় লিগ্যাল ভিসার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ভারতে ভ্রমণ করতে সক্ষম হবেন। তবে ভিসা প্রসেসিং এর আগে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জেনে অবশ্যই নিবেন। আপনি যদি তথ্য গুলো না জানেন তবে আপনি প্রতারিত হতে পারেন।
আরও তথ্য এবং আপডেটের জন্য আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে যোগ দিন
আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ