বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী মহিলা ২০২৩
আজকে আমাদের আলোচনায় রয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী মহিলা সম্পর্কিত বিষয়গুলি। কালের বিবর্তনে বিশ্বের ধনীদের নাম পরিবর্তন হয়েছে। আজকে আমরা বর্তমান বিশ্বে অর্থাৎ ২০২৩ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী নারীদের নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি।
বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী মহিলা ২০২৩
আজকে আমাদের আলোচনায় রয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী মহিলা সম্পর্কিত বিষয়গুলি। কালের বিবর্তনে বিশ্বের ধনীদের নাম পরিবর্তন হয়েছে। আজকে আমরা বর্তমান বিশ্বে অর্থাৎ ২০২৩ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী নারীদের নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। বিশেষ শীর্ষ ধনীদের তালিকায় উঠে এসেছে অনেক কম বয়সী নারীদের নাম। তাদের মধ্যে অনেকেই পারিবারিক সূত্রে বিশাল ধন-সম্পদের মালিক হয়েছেন। আবার নিজেদের চেষ্টায় সেই ধনসম্পদকে বাড়িয়ে তুলেছেন। ফ্যাশান ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বের মধ্যে এমনও অনেক কোটিপতি নারী রয়েছেন। উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া বা নিজের করা প্রতিষ্ঠান নিয়ে এসকল নারীরা বিশ্বে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। এমন কিছু কোটিপতি নারীদের কথা আমরা আজকে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় ১০টি খাবার
নাম্বার ১
হলি ব্র্যানসন
বর্তমান বিশ্বে হলি ব্র্যানসন প্রায় চার বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালিক। পেশাগত দিক থেকে তিনি একজন নিউরো সার্জন। তার বাবা রিচার্ড ব্র্যান্ডসন একজন মার্কিন ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক। নিউরো সার্জন এর উপর পড়াশোনা শেষ করে তিনি ওয়েস্ট মিনস্টার নামক হাসপাতালে দীর্ঘদিন যাবত চিকিৎসায় কর্মরত রয়েছেন। তিনি বর্তমানে সমাজসেবামূলক নানা রকম কাজ করে নিজেকে আরও উচ্চপর্যায়ে নিয়ে গেছেন। হলি ব্রানসান বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ ধনী নারীদের মধ্যে অবস্থান করছেন। তার মত ধন-সম্পদ বর্তমানে বিশ্বের নারীদের মধ্যে আর কারো নেই।
নাম্বার ২
মাড়িয়ে বেসনিয়্যার
মাড়িয়ে বেসনিয়্যার মূলত ফরাসি বংশগত মহিলা। তার জন্ম ১৯৮০ সালে। তিনি প্রায় তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালিক। তিনি মূলত উত্তরাধিকার সূত্রে এ সকল ধন সম্পদের মালিক হয়েছেন। বিখ্যাত ডেইরি ফার্ম লেক টেলিস এর মালিক তিনি। তার বাবা মিসেল বেশনিয়ার ১৯৫৫ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত এই কোম্পানির সিইও এর দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমানে তার বাবার পরিবর্তে তিনি এ কোম্পানির মালিকানা লাভ করেন। এখনো পর্যন্ত তিনি এ কোম্পানির মালিকানায় অবস্থান করছেন। তার এত ধনসম্পদ রয়েছে যে তিনি বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ ধনী নারীদের মধ্যে অবস্থান করছেন। উৎপাদনের মাধ্যমে এই কোম্পানি সমগ্র আমেরিকাতে পরিচিতি লাভ করেছে। তিনি বর্তমানে আমেরিকা শুধু নয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তার কোম্পানির উৎপাদিত পণ্য পৌঁছে দিচ্ছেন।
বাংলাদেশের সেরা ১০ টি ইয়ারফোন
নাম্বার ৩
সারা সেবানচি
সারা সেবানচি মূলত তুরস্কের বংশোদ্ভূত নারী। তুরস্কের অন্যতম ধ্বনি সারা সেবানচি পরিবার সূত্রে এসকল ধন-সম্পদের মালিক হয়েছেন। বর্তমানে সারা সেবানচির সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৬ সালে ফোর্স ম্যাগাজিনের দেওয়া এক তালিকায় তার নাম দেখা যায় বিশ্বের ধনীদের মধ্যে ২৮ তম অবস্থানে। তবে বর্তমানে তিনি বিশ্বের ধনীর নারীদের মধ্যে অবস্থান করছেন। তুরস্কের অন্যতম সেরা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সেবাঞ্চি যার একজন অন্যতম কর্ণধার এবং পরিচালনা পর্ষদের সদস্য তিনি। তিনি বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ ধনী হিসেবে অবস্থান করছেন। তার সম্পদের পরিমাণ এত যে সমগ্র তুরস্কে তার সমপরিমাণ ধন সম্পদ আর কারোই নেই।
নাম্বার ৪
আনা লুসিয়া
৪১ বছর বয়সী এই নারী অনালুষিয়া প্রায় সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলারের মালিক। তার দাদা এটাও নামে ব্রাজিলের অন্যতম বড় এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। পরবর্তীতে লাটিন আমেরিকার আরেকটি বিখ্যাত ব্যাংক ইউনানী ব্যাংকের সাথে সমঝোতা এবং চুক্তিবদ্ধ হয়ে এটাও ইউনিভাঙ্ক নামে ব্যাংকিং সেক্টরে তাদের কাজ চলমান রেখেছে। উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত অর্থ সম্পত্তির প্রভাবে তিনি ব্রাজিলের সর্বকনিষ্ঠ বিলিয়নিয়ার হিসেবে পরিচিত হন।
বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী ব্যক্তি ২০২৩
নাম্বার ৫
লি সিও হুন
দক্ষিণ কোরিয়ার বংশভূত নাগরিক লি সিও হুন ৪১ বছর বয়সী। প্রায় দেড় বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালিক তিনি। ফরাসি শিল্প সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করার পর তিনি ব্যবস্থাপনার উপরেও ট্রেনিং এবং ডিগ্রি লাভ করেছেন। লি সেই নামক একটি কোম্পানির মালিকানায় তিনি বর্তমানে অবস্থান করছেন। একটি সময়ে এই কোম্পানিতেই তিনি তার ক্যারিয়ার শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি samsung কোম্পানির সাথে যুক্ত হয়ে তাদের ব্যবসার আরো প্রসার ঘটাতে থাকেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও এটাই সত্য যে এই ক্ষমতাশীল নারী গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
নাম্বার ৬
এরিন লডার
প্রায় দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালিক এর এরিন লডার। উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি এই বিশাল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। তার বাবা অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এরিন পেন্সিলভিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করার পরে পারিবারিক ব্যবসার সাথে মনোনিবেশ করেন। পরবর্তীতে যোগাযোগ ও গণমাধ্যমের উপর স্নাতকোত্ত ডিগ্রী অর্জন করেছেন। তিনি পাশাপাশি কসমেটিক সুগন্ধিপত্যের ব্যবসা শুরু করেন। বিশ্বখ্যাত কসমেটিক্স কোম্পানি এস্টি লটারের প্রায় ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের শেয়ার তার নিজের নামে বরাদ্দ করা হয়েছে।
নাম্বার ৭
তামারা এক্লেস্টন
৩২ বছর বয়সী এই নারী প্রায় সাড়ে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালিক। পেশাগত জীবনে তিনি একজন মিডিয়া প্রভাষক এবং টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব। তার বাবা বার্নি একলা স্টোন ফর্মুলা ওয়ানা নামক বিখ্যাত বিখ্যাত কোম্পানির নির্বাহী পরিচালক। এ ছাড়া তিনি ইতালির স্কাই স্পোর্টস সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানগুলোর উপস্থাপনায় কাজ করে যাচ্ছেন।
নাম্বার ৮
পেট্রা স্টান্ট
পেট্রা কোটিপতি বার্নি একলেস্টোনের আরেক মেয়ে অর্থাৎ তামারার বোন। তার বোন তামারার মত বিভিন্ন সামাজিক ও গণমাধ্যমগুলোতে পরিচিত পাশাপাশি পেট্রা ফ্যাশন ডিজাইনের হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।
নাম্বার ৯
ডিলাম লরেন
ডিজাইনার রাফ লরেনের মেয়ে ডিলান ব্যক্তিগতভাবে চার বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালিক। বাবার ডিজাইনার ব্যবসায়ের দিক থেকে তিনি আমেরিকার অন্যতম কেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান ডিলাস ক্যান্ডি বার চালু করেন এবং ব্যাপক সফলতা অর্জন করেন। তার পোশাকে থেকে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা বেশি পরিচিত লাভ করেছে।
নাম্বার ১০
কাইলি জেনার
২০১৮ সালে ফোর্স ম্যাগাজিনের শিরোনামে এই ২০ বছর বয়সী ধনী নারীর নাম উঠে আসে। কিম কার্দাশিয়ানের বোন কাইলি নিজ যোগ্যতায় উঠে আসেন জাতির সামনে। কাইলি জেনার নিজস্ব কোম্পানি কাইলির ৯শ মিলিয়ন সম্পত্তির মাঝে তারও একটি বড় অংশ রয়েছে। তিনি বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ ধনী নারীদের মধ্যে অন্যতম।
উপরোক্ত আলোচনায় আমরা বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী নারীর তথ্য উপস্থাপন করেছি। এছাড়াও আপনারা যদি আরও যেকোনো তথ্য পেতে চান। তাহলে আমাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। আমাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করলে এমন আরো অনেক তথ্য আপনারা পেতে পারেন। এছাড়াও যে কোন চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সহ সমসাময়িক যেকোনো বিষয়ে জানতে চাইলে আমাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করুন।
আরো বিস্তারিত তথ্য ও সকল আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজটি ফলো করুন।