কানাডায় ফুল স্কলারশীপ পেতে করণীয়
অভিবাসীদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানকারী দেশগুলোর মধ্যে কানাডা অন্যতম দেশ। প্রতিবছর বিভিন্ন কাজের জন্য সরকারিভাবে বা ব্যক্তিগতভাবে সারা পৃথিবী থেকে প্রায় তিন লক্ষেরও বেশি কর্মী কানাডা তাদের নিজের দেশে নিয়ে থাকে।
কানাডায় ফুল স্কলারশীপ পেতে করণীয়
অভিবাসীদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানকারী দেশগুলোর মধ্যে কানাডা অন্যতম দেশ। প্রতিবছর বিভিন্ন কাজের জন্য সরকারিভাবে বা ব্যক্তিগতভাবে সারা পৃথিবী থেকে প্রায় তিন লক্ষেরও বেশি কর্মী কানাডা তাদের নিজের দেশে নিয়ে থাকে। সরকারি বা বেসরকারিভাবে কানাডায় ফুল স্কলারশীপ পাবার উপায় সম্পর্কে জানতে হলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন। এই পোস্টে আপনাদের আমরা জানাব সরকারি ও বেসরকারি ভাবে আপনি কিভাবে কানাডায় স্কলারশীপ পাবেন। কানাডায় ফুল স্কলারশীপ পেতে করণীয়
বাংলাদেশের জনপ্রিয় ১০টি খাবার
কানাডায় স্কলারশীপ পাবার উপায়সমূহ
নাম্বার ১
চাকুরীজীবী হিসেবে
কানাডায় কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মীকে তারা অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে আবেদন করে সরকারিভাবে স্বল্প সময়ের মধ্যে কানাডা যাওয়া সম্ভব। যে সকল পদে আবেদনের মাধ্যমে সরকারিভাবে দ্রুত কানাডা যাওয়া যায় সেগুলো হলো
১. সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে, |
২. কাস্টমার সার্ভিস রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে, |
৩. ম্যানুফ্যাকচারিং হিসেবে, |
৪. একাউন্টেন্ট হিসেবে, |
৫. সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে, |
৬. আইটি প্রজেক্ট ম্যানেজার হিসেবে, |
৭. ইঞ্জিনিয়ারিং প্রজেক্ট ম্যানেজার হিসেবে, |
৮. অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার হিসেবে। |
উল্লেখিত কাজ গুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই খুব অল্প সময়ের মধ্যে সরকারিভাবে কানাডায় গিয়ে একটি ভাল ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারেন। এর পাশাপাশি আপনি যেকোন ডিগ্রী পাস করে দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মী হলে কানাডায় গিয়ে চাকরি করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন।
নাম্বার ২
শ্রমিক হিসেবে
কানাডায় আপনি চাকরির পাশাপাশি বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে শ্রমিক হিসেবে যেতে পারবেন। কানাডা গত ২০১৯ সাল পর্যন্ত চার বছরে প্রায় ১২ লক্ষ শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছে। তাই একজন দক্ষ শ্রমিক হিসেবে আপনি কানাডায় যেতে পারবেন।
নাম্বার ৩
শিক্ষাগত যোগ্যতায়
শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কানাডায় গিয়ে চাকরি বা শ্রমিক হিসেবে কাজ করা ছাড়াও IEC অর্থাৎ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপেরিয়েন্স কানাডা এর আওতায় ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী মানুষ চাকরির কোনো প্রকার লেটার ছাড়াই কানাডা যেতে পারে। তবে সেই ক্ষেত্রে ব্যক্তিগতভাবে নিজ খরচে কানাডায় যেতে হবে।
নাম্বার ৪
পড়াশোনার উদ্দেশ্যে
সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার একটি প্রধান কারণ উচ্চশিক্ষা। প্রতিবছর উচ্চশিক্ষা উৎসুক অনেক ছাত্র-ছাত্রী সরকারিভাবে কানাডা যেয়ে থাকে। কানাডা মূলত উচ্চশিক্ষার জন্য আদর্শ একটি স্থান। বিদেশে বিশেষ করে কানাডায় উচ্চশিক্ষা আমাদের দেশের প্রায় সব শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন হয়ে থাকে। কানাডিয়ান সরকার প্রতি বছর পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। এসব স্কলারশিপে প্রথমে যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করার পর যদি কেউ মনোনয়ন পায় তবে সরকারি ভাবেই কোন ঝামেলা ছাড়াই কানাডায় যাওয়া সম্ভব।
বাংলাদেশের সেরা ১০ টি ইয়ারফোন
সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার প্রাথমিক আবেদন পদ্ধতি
আপনি যদি সরকারিভাবে কানাডা গিয়ে চাকরি করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে সর্বপ্রথম যা করতে হবে তা হলো
১. কানাডার কোন কোম্পানি বা সেক্টরে চাকরির জন্য সার্কুলার দিয়েছে সে বিষয়ে ভালোভাবে খোঁজখবর রাখতে হবে। |
২. এর পাশাপাশি দেশের বেশিরভাগ চাকরি দক্ষতা অভিজ্ঞতা নির্ভর। তাই এক্ষেত্রে আপনার প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হতে পারে। এর জন্য চাকরি প্রার্থী হিসেবে সরকারিভাবে কানাডা যেতে চাইলে বৈদেশিক বিভিন্ন চাকরির সার্কুলার ছাপানো হয় এমন দৈনিক পত্রিকাগুলোতে আপনাকে নিয়মিত খেয়াল রাখতে হবে। |
৩. এছাড়া আপনি চাইলে অনলাইনে ও বৈদেশিক চাকরি সংক্রান্ত বিভিন্ন নোটিশ গুলোও দেখে নিতে পারেন। |
৪. এছাড়া চাকরি প্রার্থী হিসেবে সরকারিভাবে কানাডা যেতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই চাকরি প্রার্থী হিসেবে আপনার নাম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এজন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার নিকটস্থ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এর প্রবাসী কল্যাণ শাখায় যোগাযোগ করতে হবে। এবং নির্দেশনা অনুযায়ী সার্বিক কার্যাবলি সমূহ সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে। |
৫. কানাডা থেকে যদি কোন চাকরির সার্কুলার দেওয়া হয় তাহলে সেখানে প্রাথমিকভাবে আবেদন করতে হবে এবং নির্দেশনা অনুযায়ী সকল কার্যক্রম ঠিকমতো সম্পন্ন করতে হবে। |
কানাডায় যাবার জন্য করণীয়
সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার জন্য সর্ব প্রথমে আপনাকে একটি পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে। পাসপোর্ট তৈরি অনেকটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। এজন্য আপনাকে অবশ্যই পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে। আর পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ অসাবধানতাবশত অনৈতিকভাবে তৈরিকৃত জাল পাসপোর্ট আপনার জীবন ও ক্যারিয়ারের ধ্বংস করে দিতে পারে। এজন্য কানাডা যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা অতীব জরুরী। আবেদন করার জন্য এবং কানাডায় যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় বিভন্ন ধরনের কাগজপত্র সংগ্রহ, মেডিকেল টেস্ট, জনশক্তি মন্ত্রণালয় থেকে ছাড়পত্র ইত্যাদির কাগজপত্র প্রস্তুত করতে হবে।
বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী ব্যক্তি ২০২৩
কানাডায় আবেদনের যোগ্যতা
আপনি যদি কানাডা গিয়ে টাকা উপার্জন করতে চান, তাহলে আপনার নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন হবে। কানাডায় অধিকাংশ সময়ই অভিজ্ঞতা, যোগ্যতা ও দক্ষতার ওপর ভিত্তিক কাজের জন্য নিয়োগ দিয়ে থাকে। কানাডা গিয়ে কাজ করার জন্য ভিসা পেতে কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন হয় । আপনার মধ্যে যদি সেসব যোগ্যতা থাকে তাহলে আপনি খুব সহজে কানাডা গিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
কানাডা কাজের ভিসা পেতে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা
কানাডায় কাজের ভিসা পেতে যা যা লাগবে
১. আবেদনকারীর ছবি, |
২. আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, |
৩. আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা (নূন্যতম এইচএসসি বা সমমান পাস হতে হবে), |
৪. চাকরির অভিজ্ঞতার সনদপত্র ও প্রমাণপত্র, |
৫. আবেদনকারীর ন্যাশনাল আইডি কার্ড, |
৬. আবেদনকারীর সরকার কর্তৃক প্রদত্ত জন্ম নিবন্ধন, |
৭. আবেদনকারী যদি বিবাহিত হয় তবে বিবাহ সনদ, |
৮. যে কোন চাকরির কমপক্ষে এক বছরের অভিজ্ঞতা ও অভিজ্ঞতার সনদ বা প্রমাণপত্র। |
৯. পর্যাপ্ত ব্যাংক সলভেন্সি বা ব্যালেন্স, |
১০. মেডিকেল রিপোর্ট, |
১১. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ইত্যাদি। |
এর পাশাপাশি নির্দেশনা অনুযায়ী আবেদনকারীর সকল ব্যক্তিগত তথ্য অবশ্যই প্রদান করতে হবে। এক্ষেত্রে যে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে লক্ষ্য রাখতে হবে তা হলো আবেদনকারী ও আবেদনকারীর পিতা, মাতার নামের বানান সহ সকল ডকুমেন্ট সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। নামের বানানে অসঙ্গতি দেখা দিলে আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে । এছাড়াও আবেদনে প্রদানকৃত সকল তথ্য অবশ্যই সত্য ও সঠিক হতে হবে।
আরো বিস্তারিত তথ্য ও সকল আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজটি ফলো করুন।