আমেরিকায় স্কলারশিপ পাবার জন্য কি করতে হবে
আমরা যারা বাংলাদেশে বসবাস করি তাদের মধ্যে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন আমেরিকায় গিয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে তোলা। কেননা সেখানে রয়েছে বিশ্বের সব থেকে মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় সমুহ। মানসম্মত স্টাডি এর পাশাপাশি সেখানে রয়েছে নানা প্রকার সুযোগ সুবিধা। যা একজন শিক্ষার্থীকে সহজেই সে দেশের উচ্চশিক্ষার প্রতি আকৃষ্ট করে থাকে।
আমেরিকায় স্কলারশিপ পাবার জন্য কি করতে হবে
আমরা যারা বাংলাদেশে বসবাস করি তাদের মধ্যে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন আমেরিকায় গিয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে তোলা। কেননা সেখানে রয়েছে বিশ্বের সব থেকে মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় সমুহ। মানসম্মত লেখা পড়ারর পাশাপাশি সেখানে রয়েছে নানা প্রকার সুযোগ সুবিধা। যা একজন শিক্ষার্থীকে সহজেই সে দেশের উচ্চশিক্ষার প্রতি আকৃষ্ট করে তুলে। আমেরিকায় স্কলারশিপ পাবার জন্য কি করতে হবে
আমেরিকা স্কলারশিপ কি ভাবে পাবেন, স্কলারশীপ পাবার উপায় সহ সকল প্রকার তথ্য আমাদের এই পোস্টে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। তাই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী ব্যক্তি ২০২৩
স্কলারশিপ কি?
স্কলারশিপ হলো মূলত বৃত্তি নিয়ে দেশের বাহিরে পড়াশোনা করতে যাবার একটি মাধ্যম। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের একটি অংশের জীবনের প্রধান স্বপ্নই স্কলারশিপ নিয়ে দেশের বাহিরে বিশেষ করে আমেরিকার মত দেশে পড়তে যাওয়া।
স্কলারশিপ কত প্রকার ও কি কি?
স্কলারশিপকে বিভিন্ন দিক থেকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। স্কলারশিপ গুলো হলো:
১. মেধাক্রম অনুযায়ী স্কলারশিপ, |
২. প্রয়োজন অনুযায়ী স্কলারশিপ, |
৩. শিক্ষার্থী অনুযায়ী স্কলারশিপ, |
৪. কর্মজীবন অনুযায়ী স্কলারশিপ। |
আমেরিকান ইউনিভার্সিটি গুলোর টিউশন ফি কত?
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভেদে আমেরিকান ইউনিভার্সিটিগুলোত টিউশন ফি ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। যেখানে সর্বনিম্ন বাৎসরিক ৫ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি খাওয়া এবং পড়াশোনার আনুষাঙ্গিক খরচ মিলে ৯ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
আমেরিকার সেরা ১০টি ইউনিভার্সিটি
সহজে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
স্কলারশিপের জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে আপনার পছন্দের দেশ অথবা পছন্দের দেশের প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করতে হবে। আর এই স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য আপনাকে নিয়মিত সেই দেশের স্কলারশিপ বিষয়ক ওয়েবসাইটে নিয়মিত নজর রাখতে হবে। এর পাশাপাশি আপনার পছন্দের ক্যাটাগরি থেকে আপনার মন মতো বিষয়ে স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে।
আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য সমূহ
বিভিন্ন একাডেমিক শাখার ছাত্র/ছাত্রীদের বিশেষীকরণ এবং কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ লাভের সুযোগ আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদান করে থাকে। প্রায় পাঁচ হাজার স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আমেরিকাতে উচ্চ শিক্ষা ডিগ্রি প্রদান করে থাকে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো আমেরিকার উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানসমূহ কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত হয় না।
Top 10 College In Bangladesh
আমেরিকার স্কলারশীপ পাবার উপায়
বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও শিক্ষার দিক থেকে বিশ্বে প্রথম অবস্থানে রয়েছে আমেরিকা। আমেকিার ডিগ্রি সম্পূর্ণ পৃথিবীতে প্রায় সকল দেশে স্বীকৃত। আমেরিকায় আনুমানিক পাঁচ হাজার বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে আনুমানিক ছয় থেকে সাত লক্ষ বিদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে । পৃথিবীর নানা স্থান থেকে মানুষ সেখানে উচ্চশিক্ষার লাভের জন্য যায়।
স্কলারশিপ এর বিস্তারিত তথ্য
মেধাক্রম অনুযায়ী স্কলারশিপ
মেধাক্রম স্কলারশিপ মূলত শিক্ষার্থীর মেধার উপর নির্ভর করে প্রদান করা হয়। যেমন শিক্ষা, খেলাধুলা এবং শৈল্পিক মেধা। বিশ্বের মধ্যে অন্যতম স্কলারশিপ দেশ হিসেবে আমেরিকা খুবই স্বনামধন্য স্থানে রয়েছে। তাই আপনি যদি মেধাবী হয়ে থাকেন তবে আমেরিকার স্কলারশিপ পাওয়া আপনার জন্য অনেকটা সহজ হবে।
প্রয়োজন অনুযায়ী স্কলারশিপ
প্রয়োজন অনুযায়ী স্কলারশিপ সমূহ প্রধানত শিক্ষার্থীর আর্থিক অথবা অর্থনৈতিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে প্রদান করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় লক্ষ্য করা হয় শিক্ষার্থীর পারিবারিক অবস্থা বিশেষ করে বাবা মায়ের আয় এর পরিমাণ ঠিক কত তার ওপর। অনেক ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায় যে, শিক্ষার্থী খুব মেধাবি হবার পরেও পারিবারিক বা অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে দেশে বাহিরে উচ্চ শিক্ষার জন্য যাওয়া সম্ভব হয় না। এমন শিক্ষার্থীদেরই মূলত সম্পূর্ণ স্কলারশিপে এই ক্যাটাগরিতে ফ্রিতে দেশের বাহিরে ভালো ও উন্নত প্রতিষ্ঠানে সম্পূর্ণ ফ্রি স্কলারশিপে আমেরিকাতে পড়ার সুযোগ দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থী অনুযায়ী স্কলারশিপ
আমেরিকায় শিক্ষার্থী অনুযায়ী স্কলারশিপ দেওয়ার ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থীর জাতীয়তা, লিঙ্গ, পারিবারিক অবস্থা সহ আরও অনান্য বিষয়ে আলোকপাত করা হয়ে থাকে। যেমন, আমেরিকাতে শিক্ষার্থী কেমন তার ওপর ভিত্তি করে স্কলারশিপ দেওয়া হয়। উক্ত স্কলারশিপটি Resident Scholarship নামে পরিচিত। আমেরিকাতে এই স্কলারশিপটি শিক্ষার্থীদের তাদের যোগ্যতা ও প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী দেওয়া হয়ে থাকে।
কর্মজীবন অনুযায়ী স্কলারশিপ
নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অর্থাৎ কলেজ বা ইউনিভার্সিটি থেকে কোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে উপর কর্মজীবন পরিকল্পনায় সাহায্যের জন্য শিক্ষার্থীদের এই ধরনের স্কলারশিপ প্রদান করা হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বে নার্সিং পেশার অধিক চাহিদার এবং প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। তাই এই মুহূর্তে সারা বিশ্বে নার্সিং পেশায় আমেরিকাতে বেশি পরিমাণ স্কলারশিপ প্রদান করা হচ্ছে। তাই নার্সিংকে পেশা হিসেবে নিয়ে আমেরিকার স্কলারশিপ নেয়া যেতে পারে।
আমেরিকা স্কলারশিপ এর জন্য কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন?
আমেরিকার পড়াশোনার মাধ্যম হচ্ছে ইংরেজি। তাই আমেরিকায় পড়ার আগ্রহ থাকলে অবশ্যই আপনাকে ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে। ইংরেজি ভাষার দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে আপনাকে TOEFL এ নূন্যতম ১৮০ পয়েন্ট পেতে হবে। আর পোস্ট গ্রেজুয়েশনের জন্য আপনাকে কমপক্ষে ২২০ পয়েন্ট পেতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভেদে স্কোর এর চাহিদা ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। এছাড়া GRE এর জন্য কমপক্ষে ২৮০ পয়েন্ট এবং IELTS জন্য কমপক্ষে ৬.৫ পয়েন্ট পেতে হয়।
What is BDIX
স্কলারশিপ পাবার উপায়
স্কলারশিপ কিভাবে পাওয়া যায় এই বিষয় জানার পাশাপাশি আপনাকে যোগ্যতার বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে। আমাদের দেশ থেকে কোনো শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক বা বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা শেষ করে ইউরোপ, আমেরিকা অথবা যুক্তরাষ্ট্রের মত কোনো দেশে স্কলারশিপে উচ্চ শিক্ষার যাওয়ার জন্য সপ্ন দেখে। এজন্য তাকে যোগ্যতা অর্জন এর জন্য নিচের বিষয়গুলি জানতে হবে।
নাম্বার ১
এসএটি (SAT) স্কোর বা মান | SAT স্কোরকে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া সহ বিভিন্ন দেশে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। তাই স্কলারশিপে উক্ত দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই SAT এর মান বজায় রাখতে হবে। উক্ত দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ আবেদনের জন্য এসএটি এর মান বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। তাই আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয় স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে ইচ্ছুক সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএটি মান কত তা জেনে নিবেন। |
নাম্বার ২
সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ | বিশ্বের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে আমেরিকায় স্কলারশিপের জন্য আবেদন করার সময় সামাজিক কার্যক্রমকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। যেমন স্কাউট কার্যক্রম, বিএনসিসি কার্যক্রম এর পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবা মূলক কাজে অংশগ্রহনের সনদও আপনার আবেদনকে অনেকটা এগিয়ে রাখতে সাহায্য করবে। |
নাম্বার ৩
সুপারিশপত্র বা রেকমেন্ডেশন লেটার | আমেরিকায় স্কলারশিপের ক্ষেত্রে আবেদন পত্রের জন্য সুপারিশপত্র বা রেকমেন্ডেশন লেটার জমা দিতে হয়। এটি স্বনামধন্য কোনো ব্যক্তি, স্কুল, কলেজ অথবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষকদের দ্বারা লিখিত সনদ পত্র হয়ে থাকে। যেখানে উক্ত ব্যক্তি আপনার পরিচিত এবং আপনাকে খুব ভালো ভাবে জানেন এই মর্মে একটি সুপারিশ পত্র হয়ে থাকে। |
নাম্বার ৪
ভাষা দক্ষতার প্রমাণ | আমেরিকায় স্কলারশিপ এর জন্য আপনাকে অবশ্যই ভাষা ভিত্তিক দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এর পাশাপাশি ভাষা দক্ষতার সনদপত্রও আপনাকে জমা দিতে হবে। আমেরিকায় স্কলারশিপ পাবার ক্ষেত্রে IELTS এবং TOEFL স্কোরকে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়ে থাকে। |
আরো বিস্তারিত তথ্য ও সকল আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজটি ফলো করুন।