কোন কোন দেশের কোনো বিমানবন্দর নেই?
কোনো দেশের অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে অগ্রগতির জন্য অন্যতম বড় প্রতীক হলো সেই দেশের বিমানবন্দর। সমৃদ্ধি এবং নগর উন্নয়নের সূচনার জন্য আকাশ পথে যোগাযোগের বিকল্প কিছু নেই। তবে মজার বিষয় হলো বিশ্বের এমনও কিছু দেশ আছে যেখানে কোনো প্রকার বিমানবন্দর নেই। কি শুনতে অবাক লাগছে? অবাক লাগলেও এটাই সত্যি যে উক্ত দেশ গুলোতে সত্যিই কোনো বিমান বন্দর নেই। দেশগুলো প্রমাণ করছে যে, বিমানবন্দর সকল ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বিষয় নয়।
কোন কোন দেশের কোনো বিমানবন্দর নেই?
কোনো দেশের অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে অগ্রগতির জন্য অন্যতম বড় প্রতীক হলো সেই দেশের বিমানবন্দর। সমৃদ্ধি এবং নগর উন্নয়নের সূচনার জন্য আকাশ পথে যোগাযোগের বিকল্প কিছু নেই। তবে মজার বিষয় হলো বিশ্বের এমনও কিছু দেশ আছে যেখানে কোনো প্রকার বিমানবন্দর নেই। কি শুনতে অবাক লাগছে? অবাক লাগলেও এটাই সত্যি যে উক্ত দেশ গুলোতে সত্যিই কোনো বিমান বন্দর নেই। দেশগুলো প্রমাণ করছে যে, বিমানবন্দর সকল ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বিষয় নয়। কোন কোন দেশের কোনো বিমানবন্দর নেই ইংরেজিতে পড়ুন
Top 10 richest people in the world 2023
যে সকল দেশে কোনো বিমানবন্দর নেই
মজার ব্যাপার হলো উল্লেখিত দেশ গুলোতে কোনো বিমান বন্দর নেই। তাই বলে দেশ গুলোর বিমান বন্দর নির্মাণের সামর্থ নেই বিষয়টি তেমন নয়। তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক কোন কোন দেশের কোনো বিমানবন্দর নেই তার তালিকা।
১. ভ্যাটিকান সিটি, |
২. মোনাকো, |
৩. সান মারিনো, |
৪. লিচেনস্টাইন, |
৫. এন্ডোরা। |
নাম্বার ১ দেশ যার কোনো বিমানবন্দর নেই
দেশের নাম | ভ্যাটিকান সিটি |
আয়তন | ০.৪৪ কিলোমিটার। |
ভ্যাটিকান সিটির বিমানবন্দর না থাকার কারণ
দেশটি বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দেশ গুলোর একটি। ভ্যাটিকান সিটি নামক দেশটির জনসংখ্যা মাত্র আটশো’র মতো। যেহুতু দেশটি আয়তনে ছোট তাই বিমান অবতরণ করার জন্য খুব বেশি জায়গা দেশটির নেই। তাছাড়া দেশটির কোনো নদী বা সমুদ্র বন্দরও নেই। কিন্তু দেশটির পাশের দেশ গুলোর বিমানবন্দর রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে রোম দেশের সিয়াম্পিনো এবং ফিউমিসিনো বিমানবন্দর। এসব বিমানবন্দর থেকে ভ্যাটিকান সিটিতে ট্রেনে মাধ্যমে সকল কার্যক্রম করা হয়। আর ভ্যাটিকান সিটি থেকে বিমানবন্দর গুলোর দূরত্ব ৩০ মিনিটেরও কম।
Top 20 Cities In The World [Take a Look]
নাম্বার ২ দেশ যার কোনো বিমানবন্দর নেই
দেশের নাম | মোনাকো |
আয়তন | ১.৯৫ বর্গকিমি, স্থলসীমান্তের দৈর্ঘ্য ৪.৪ কিমি এবং তটরেখার দৈর্ঘ্য মাত্র ৪.১ কিমি। |
মোনাকোর বিমানবন্দর না থাকার কারণ
মোনাকো দেশটি বিশ্বের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ। দেশটি তিন দিক ফ্রান্স এর অবস্থান। দেশটি আয়তনে ছোট হওয়ার জন্য বিমানবন্দর করার মত তেমন স্থান নেই। মোনাকো নামক দেশটির নিজস্ব কোনো বিমানবন্দর নেই। যারা মোনাকোতে ঘুরতে বা বেড়াতে যান তাদের সলকেই ফ্রান্সের নিস কোট ডি আজুর বিমানবন্দরে অবতরণ করতে হয়। ট্যুরিস্টদের পরবর্তীতে একটি ক্যাব বুক করে মোনাকো দেশটিতে প্রবেশ করতে হয়। এছাড়া নৌকা ভাড়া করেও মোনাকোতে যাওয়া যায়।
নাম্বার ৩ দেশ যার কোনো বিমানবন্দর নেই
দেশের নাম | সান মারিনো |
আয়তন | ৬১ বর্গ কিলোমিটার। |
Top 10 places in Bangladesh
সান মারিনোর বিমানবন্দর না থাকার কারণ
সান মারিনো বিশ্বের প্রাচীনতম রাজ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম। দেশটি চারদিকে ইতালির অবস্থান। সান মারিনো দেশটির সমুদ্রে প্রবেশাধিকার নেই। যার ফলে দেশটির কোনো সমুদ্র বন্দর নেই। যেহেতু দেশটি আয়তনে খুব ছোট তাই এর কোনো বিমানবন্দর নেই। তবে মজার বিষয় হলো সান মারিনো থেকে আপনি চাইলে ইতালির যেকোনো দিক দিয়ে প্রবেশের অনুমতি পাবেন। দেশটির নিকটতম বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে একটি হল ইতালির রিমিনি বিমানবন্দর। এর পাশাপাশি অন্যান্য বিমানবন্দর গুলোর নাম হলো, ফ্লোরেন্স, বোলোগনা, ভেনিস এবং পিসা। দেশটিতে ঘুরতে আসা পর্যটকরা সাধারণত এই সকল বিমানবন্দরেই অবতরণ করে থাকেন। আর পরবর্তীতে সান মারিনোতে প্রবেশ করেন।
নাম্বার ৪ দেশ যার কোনো বিমানবন্দর নেই
দেশের নাম | লিচেনস্টাইন |
আয়তন | ১৬০ বর্গ কিলোমিটার |
লিচেনস্টাইন এর বিমানবন্দর না থাকার কারণ
লিচেনস্টাইনও বিশ্বের ছোট দেশগুলোর একটি। দেশটির আয়তন ৭৫ কিলোমিটার মাত্র। লিচেনস্টাইন যদি বিমানবন্দর তৈরি করতে চাই তবে দেশটির আংশিকভাবে রাইন, পূর্বে এবং পশ্চিমে অস্ট্রিয়ান পর্বতমালার জমি ব্যবহার করতে হবে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে লিচেনস্টাইন এর কোনো কূটনৈতিক দ্বন্দ্বে নেই। আর দেশটি কোনো প্রকার দ্বন্দ্ব চাই না। যার জন্য দেশটি বিমানবন্দর ছাড়াই রয়ে গেছে। লিচেনস্টাইন দেশের বসবাসকারী বাসিন্দারা ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। জুরিখ বিমানবন্দরে পর্যটক পৌঁছানোর জন্য গাড়ি বা বাস ব্যবহার করে থাকেন।
Top 10 richest people in the world 2023
নাম্বার ৫ দেশ যার কোনো বিমানবন্দর নেই
দেশের নাম | এন্ডোরা |
আয়তন | ৪৬৮ বর্গ কিলোমিটার |
এন্ডোরা এর বিমানবন্দর না থাকার কারণ
এন্ডোরা অন্যান্য দেশের মতো ছোট দেশ নয়। তবে দেশটির প্রধান সমস্যা হলো বড় আর উচু উচু পাহাড় গুলো। দেশটি ফ্রান্স আর স্পেনের মধ্যে অবস্থিত। এছাড়া দেশটি সম্পূর্ণভাবে পাহাড় দ্বারা বেষ্টিত। এরসাথে দেশটিতে ৩০০০ মিটার উচ্চতার বা এর কাছাকাছি অনেকগুলো চূড়া রয়েছে। এ ধরনের উচ্চতায় উড়োজাহাজ উড্ডয়ন করা খুবই বিপজ্জনক। যার কারণে অ্যান্ডোরা দেশটি কোনো প্রকার বিমানবন্দর না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরফলে দেশটিতে কোনো প্রকার বিমানবন্দর নেই।
আরও তথ্য এবং আপডেটের জন্য আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে যোগ দিন
আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ