Science View

গ্রহ কি? নক্ষত্র কি? গ্রহ ও নক্ষত্র এর মধ্যে পার্থক্য

গ্রহ নক্ষত্র গ্রহ কি? নক্ষত্র কি? গ্রহ ও নক্ষত্র এর মধ্যে পার্থক্যগ্রহ কি? নক্ষত্র কি? গ্রহ ও নক্ষত্র এর মধ্যে পার্থক্যআমাদের আকাঙ্ক্ষা বা জানার ইচ্ছা বরাবরই একটু বেশি থাকে। আর তাই আজ আমরা সৌরজগতের বিশেষ বিশেষ কিছু গ্রহ নক্ষত্র নিয়ে আলোচনা করব।আমাদের আকাঙ্ক্ষা বা জানার ইচ্ছা বরাবরই একটু বেশি থাকে। আর তাই আজ আমরা সৌরজগতের বিশেষ বিশেষ কিছু গ্রহ নক্ষত্র নিয়ে আলোচনা করব।

গ্রহ নক্ষত্র নিয়ে আমাদের আকাঙ্ক্ষা বা জানার ইচ্ছা বরাবরই একটু বেশি থাকে আর তাই আজ আমরা সৌরজগতের বিশেষ বিশেষ কিছু গ্রহ নক্ষত্র নিয়ে আলোচনা করবBBC WORD

প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক গ্রহ নক্ষত্র কি… গ্রহ কি? নক্ষত্র কি?

গ্রহ কি? নক্ষত্র কি? গ্রহ ও নক্ষত্র এর মধ্যে পার্থক্য

গ্রহ কি?

সৌরজগতে মহাকর্ষ বলের উপর প্রভাব বিস্তার করে সূর্যের চারদিকে ঘূর্ণায়মান জ্যোতিষ্ক যা নির্দিষ্ট কক্ষপথে পরিক্রমণ করছে বিজ্ঞানের মতে আমরা তাদেরকেই গ্রহ বলি। সূর্য বা অন্যান্য নক্ষত্রের নেই গ্রহের কোন আলো বাতাস থাকে না। এরা রীতিমতো ধার স্বরূপ সূর্য বা অন্যান্য নক্ষত্র থেকে আলো গ্রহণ করে থাকে। তারা যখন মৃত্যুদ করে সারাক্ষণ জ্বলতে থাকে আমি গ্রহ তার নিজস্ব আলো না থাকায় জ্বলতে পারে না। 1950 সালের পূর্বে বিজ্ঞানীরা অনেকগুলো গ্রহ আবিষ্কার করে যার মধ্যে শুধুমাত্র আটটি গ্রহ তার নিজস্ব মর্যাদা বজায় রেখেছে। আর তাই আমরা সাধারণত কিনে থাকি সৌরজগতে গ্রহের সংখ্যা সর্বমোট আটটি।

গ্রহ কি?

এই আটটি গ্রহের বাহিরে যেমন সেরেস পালাশ জুনু ভিস্তা এবং তোর মত আরো অনেক আগ্রহ ইতোপূর্বে আবিষ্কার হয়েছিল। কিন্তু তাদের নিষ্ক্রিয় ঘোষণা করা হয় এবং তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। আর তাই শেষ পর্যন্ত আটটি গ্রহই তালিকাতে টিকে থাকে।

বৃষ্টির আগমুহূর্তে আকাশের মেঘ কেন কালো দেখায়

নক্ষত্র কি?

রাতের বেলা মেঘমুক্ত আকাশে আমরা আকাশের দিকে তাকালে অনেকগুলো মিটিমিটি আলো দেখতে পাই যা সারাক্ষণ জ্বলজ্বল করতে থাকে। এই জ্বলজ্বল কৃত আলোক বিন্দু গুলোকে আমরা সাধারণ অর্থে নক্ষত্র বলে থাকি। বিজ্ঞানের অর্থে বলতে গেলে আমরা বলতে পারি নিজস্ব অভিকর্ষ বলের আবদ্ধ হয়ে আলোকোজ্জ্বল গোলাকার প্লাজমা যা এক ধরনের গ্যাসীয় পদার্থ দ্বারা তৈরি তাকে নক্ষত্র কবে।

নক্ষত্র কি?

উল্লেখ্য ভাবে বলা যায় যে কঠিন তরল ও গ্যাসীয় পদার্থের বাইরে আরেকটা অবস্থা হল প্লাজমা। নক্ষত্র কে আমরা আমাদের বাঙালি ভাষায় তারা বলে থাকি বা তারকা। রাতের বেলা মেঘমুক্ত আকাশে আমরা আকাশের দিকে তাকালে যে জ্বলজ্বল নক্ষত্র গুলো দেখতে পাই সাধারণত আমরা ভেবে নিই এগুলো তারা কিন্তু তার পাশাপাশি সৌরজগতে আরো অনেক গ্রহ আছে যেগুলো পৃথিবীর অনেকটা কাছাকাছি সেগুলোকেও আমরা রাতের আকাশে তারা হিসেবে দেখতে পাই।

গ্রহ-নক্ষত্রের ব্যাখ্যা জানার পরে এবার জেনে নেয়া যাক

নাসা বিজ্ঞানীদের অর্থের যোগান কোথায় থেকে আসে জেনে নিন

গ্রহ এবং নক্ষত্রের মধ্যে পার্থক্য 

গ্রহ এবং নক্ষত্র নিতান্তই আলাদা দুটি জিনিস যাদের মধ্যে বিশেষ কিছু পার্থক্য আমরা লক্ষ্য করতে পারি তা নিয়ে আমরা এবার আলোচনা করব।

গ্রহ

নক্ষত্র

 নক্ষত্রের খন্ডিত পিণ্ড থেকে গ্রহের সৃষ্টি। মহাবিশ্ব কখন সৃষ্টি হয় তখন অসংখ্য ধূলিকণা ও গ্যাসের মহাজাগতিক সংমিশ্রণে মেঘ বা নীহারিকা থেকে এক প্রকাণ্ড আকারের জ্বলন্ত অগ্নিকান্ডের সৃষ্টি যাতে আমরা নক্ষত্র বলে থাকে। নক্ষত্র একপ্রকারের অগ্নিকাণ্ড যেমন সূর্য।
গ্রহ গুলো অনেক সময় শীতল অনেক সময় কঠিন হয়। প্রতিটি নক্ষত্রই একেকটি জ্বলন্ত গ্যাসীয় পিণ্ড।
গ্রহের নিজস্ব আলো নেই। নক্ষত্রের নিজস্ব আলো আছে।
নক্ষত্র এর চারপাশে নিজস্ব অক্ষতে ঘূর্ণায়মান করে। গ্রহ যে অক্ষতে ঘূর্ণায়মান থাকে নক্ষত্র সেই অক্ষে অবস্থান করে।
নক্ষত্রের তুলনায় গ্রহ অনেক ছোট। নক্ষত্র তুলনামূলকভাবে অনেক বড় হয় কিন্তু আমরা তা খালি চোখে দেখতে পাই না। কারণ নক্ষত্র অনেক দূরে অবস্থান করে যার জন্য আমরা শুধুমাত্র সূর্যকেই খালি চোখে দেখতে পাই।
সর্বপ্রথম নক্ষত্র সৃষ্টি হয় এবং তারপরে গ্রহের উৎপত্তি। গ্রহের পূর্বে নক্ষত্রের সৃষ্টি।
গ্রহ একটি ঘূর্ণায়মান বস্তু জানি যক্ষ বসে সারাক্ষণ চলতে থাকে। কিন্তু আমরা সাধারণত পৃথিবী নামক গ্রহে অবস্থান করি যার জন্য আমরা বুঝতে পারি না গ্রহ চলমান নাকি স্ত্রীর। গ্রহ সূর্য নামক একটি নক্ষত্রের চারদিকে সারাক্ষণ ঘুরতে থাকে। নক্ষত্র একটি স্থির বস্তুর একটি নির্দিষ্ট কক্ষে অবস্থান করে সৌরজগতের বিভিন্ন গ্রহ কে আলো প্রদান করে থাকে। আমরা উদাহরণস্বরূপ সূর্যকে বলতে পারি। যাকে কেন্দ্র করে পৃথিবী নামক গ্রহটি সারাক্ষণ ঘূর্ণায়ন।

গ্রহ এবং নক্ষত্রের মধ্যে পার্থক্য 

উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম গ্রহ কি? নক্ষত্র কি? এবং গ্রহ ও নক্ষত্রের মধ্যে পার্থক্য কি?

এবার কিছু গ্রহ-নক্ষত্রের সাথে পরিচিত হওয়া যাক

সূর্য কি একটি গ্রহ নাকি নক্ষত্র?

আমাদের অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে “সূর্য”। সূর্য কি। এটা কি একটি গ্রহ? নাকি নক্ষত্র?

আসুন এবার আমরা জেনে নিই “সূর্য কি একটি গ্রহ নাকি নক্ষত্র?”

সূর্য সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমেই আমাদের সূর্য সম্পর্কে কিছু তথ্য জানতে হবে। “সূর্য” যাকে আমরা অন্য আরেকটি নাম “রবি” বলেও ডাকি। সৌরজগতের মধ্যস্থ কেন্দ্রে সূর্যের অবস্থান। সূর্য প্রধানত আয়নিক প্লাসমা বায়োনিক পদার্থ দ্বারা পরিবেষ্টিত যার মধ্যে জড়িয়ে আছে চুম্বকীয় পদার্থ। আমরা বিভিন্ন বই-পুস্তক থেকে জেনেছি যে সূর্যের ব্যাস প্রায় 13 লক্ষ 92 হাজার কিলোমিটার যা পৃথিবীর ব্যাস এর 109 গুন। তার সাথে আমরা এও জেনেছি সূর্য পৃথিবীর ভর এর প্রায় 3 লক্ষ 30 হাজার গুণ বড়। যা সৌরজগতের মোট ভর এর প্রায় 99 শতাংশ।

image

নাসা বিজ্ঞানী সহ পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের গবেষণায় সূর্যের চেয়েও আরো বড় এবং আরো অনেকগুলো নক্ষত্রের দেখা পাওয়া যাচ্ছে। সাধারণত নক্ষত্র তাদের বর্ণালী ও তাপমাত্রা অনুযায়ী এদের বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়। সে অনুপাতে বিবেচনা করলে আমরা তারাবা নক্ষত্রদের কে সাতটি ভাগে ভাগ করতে পারি। এদেরকে ইংরেজিতে main sequence star বা বাংলায় প্রধান ক্রোমের নক্ষত্র বলা হয়। সৌরজগতের মোট নক্ষত্রের 90 ভাগই এদের আওতাভুক্ত। সৌরজগতে ঠিক যতগুলো নক্ষত্র রয়েছে তার মধ্যে এরাই সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল এবং সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত হয়ে থাকে।

চাঁদকি একটি গ্রহ নাকি নক্ষত্র?

সূর্যের ন্যায় চাঁদ সম্পর্কে আমারে জানতে হলে সর্বপ্রথম আমাদের জানতে হবে চাঁদ কি? এর উৎপত্তি কোথা থেকে? বা এর নামকরণ কিভাবে হলো?

চাঁদ একটি সংস্কৃত শব্দ। যা থেকে চন্দ্র শব্দটির উৎপত্তি। এছাড়াও চাঁদকে আমরা শশধর শশী আরো অনেক সমার্থক শব্দ হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। আমরা পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে যখন চাঁদকে খালি চোখে দেখি তখন এর ভেতরে একটি খরগোশ বা শশক এর ন্যায় কিছু একটা পরিলক্ষিত হয়। আর তাই চন্দ্র বা চাঁদ কে শোষক ধারক হিসেবে কল্পনা করে শশধর নামটি দেয়া হয়েছে। পৃথিবীতে ইংরেজি ভাষায় তাদের নাম the moon ছাড়া অন্য কোন নামে ডাকা হয় না।

চাঁদকি একটি গ্রহ নাকি নক্ষত্র?

চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ। যা পৃথিবী কে কেন্দ্র করে ঘূর্ণায়মান। চাঁদ সৌরজগতের পঞ্চম বৃহত্তম উপগ্রহ। পৃথিবীর কেন্দ্র হতে চাঁদের কেন্দ্র দূরত্ব প্রায় 38 লক্ষ 4399 কিলোমিটার। চাঁদের ব্যাস পৃথিবীর ব্যাস এর প্রায় 30 গুণ। যেহেতু আমরা আগেই বলেছি চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে ঘূর্ণায়মান করে। তাই একটি নির্দিষ্ট সময়ে সে একবার প্রদক্ষিণ করে। চাঁদ প্রতি 27.321 দিনে পৃথিবীর চারদিকে পূর্ণ আবর্তন সম্পন্ন করে। আর তাই প্রতি 29.5 দিন পরপর চারটি নির্দিষ্ট আজকে আবার ফিরে আসে। একে চন্দ্র কলা বলা হয়।

চাঁদ কি একটি উপগ্রহ?

“হ্যাঁ” চাঁদ একটি উপগ্রহ। পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ হলপৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ হল চাঁদ। যা সর্বত্রই পৃথিবীর চারদিকে ঘূর্ণায়মান। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আমাদের সাথে একমত পোষণ করেছে। তারাও চাঁদকে একটি উপগ্রহ হিসেবেই ধারণা করেছে এবং সেটি প্রমাণ করে দিয়েছে। চাঁদ ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোন উপগ্রহ নেই। কিন্তু অন্যদিকে আলোচনার বিষয় এই যে ভারতীয় কিছু মহাকাশ সংস্থা যারা মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করেন তারা এই গল্পে উপনীত হয়েছেন যে চাঁদ একটি গ্রহ এটি কোন উপগ্রহ নয়। এবং তারা এর সাথে আরও কিছু যোগ করছি যে পৃথিবীর বা চাঁদ সহ আরো অনেক কল্পিত গ্রহের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

For more Information and Updates join our official Facebook page

Our official Facebook page

EDUINFOBD OFFICIAL

Related Articles