Breaking newsIslamic

২০২৩ সালের রোজার ঈদ কবে? ঈদুল ফিতর ২০২৩ কত তারিখে?

আমাদের দেশের দাপ্তরিক ও প্রশাসনিক কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য ও সরকারি ছুটির তালিকা তৈরিতে ইংরেজি ক্যালেন্ডার ও বাংলা ক্যালেন্ডার প্রয়োজন

২০২৩ সালের রোজার ঈদ কবে হবে । ২০২৩ সালের রোজার ঈদের তারিখ । ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতর  কবে।ঈদুল ফিতর ২০২৩।রোজার ঈদের তারিখ ২০২৩ । ঈদ এর তারিখ ২০২৩। রোজার ঈদ এর তারিখ ২০২৩। ইদ ২০২৩ ইংরেজি কত তারিখে।রোজার ঈদ ২০২৩ কবে হবে।

রোজার ঈদ ২০২৩ কবে হবে

আপনি যদি ২০২৩ সালের রোজার ঈদ কবে হবে খোজ করে থাকেন তাহলে আপনি সঠিক যায়গায় এসেছেন। আমাদের ওয়েবসাইট হতে আপনি ২০২৩ সালের রোজার ঈদের তারিখ জানতে পারবেন।এছাড়াও আমরা আপনাকে ইদ ২০২৩ ইংরেজি কত তারিখে তাও জানাবো। রোজার ঈদ কবে তা জানার জন্য অবশ্যই আপনাকে ইদের ইতিহাস ও রমজানের দিনপঞ্জিকা বা রমজান ক্যলেন্ডার ২০২৩ দেখে নিতে হবে।

download-8

রোজার ঈদের তারিখ ২০২৩

আমাদের দেশের দাপ্তরিক ও প্রশাসনিক কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য ও সরকারি ছুটির তালিকা তৈরিতে ইংরেজি ক্যালেন্ডার ও বাংলা ক্যালেন্ডার প্রয়োজন। এছাড়া, মুসলমানদের ধর্মীয় আচার ও অনুষ্ঠান পালনের জন্য হিজরি সনের ক্যালেন্ডার বা আরবি ক্যালেন্ডার তৈরি করতে হয়। হিজরী সন বা আরবি বছর মূলতঃ চন্দ্র সন বা বছর হিসেবে পরিচিত যেখানে মাসগুলোর গণনা চাঁদের উপর নির্ভর করে হয়ে থাকে। বাংলা, ইংরেজি ও আরবি বছরগুলো শুরুর ক্ষণ আলাদা হওয়ায় এগুলোর তরিখ ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।

images-4

রমাদান মাসের শেষে শুরু হয় শাওয়াল মাস এবং শাওয়াল মাসের ১ তারিখ পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণত চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে ঠিক করা হয় ঈদ কবে হবে!
আমার প্রতি বছর রমজান মাস এক সমান হয় না কোন কোন বার রমজান মাস ৩০ দিনে হয়। আবার কোন কোন বার রমজান মাস ২৯ দিনে হয়।

২০২৩ সালের রোজার ঈদ কবে হবে

প্রতিবছরই ঈদ কবে হবে এই নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়, চাঁদ দেখা কমিটির উপর নির্ভর করে থাকে গোটা বাংলাদেশ। অনেক সময় চাঁদ দেখা কমিটি তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারেনা যার প্রমাণ আমরা গত বছরগুলোর দিকে তাকালেই পেয়ে থাকি।চাঁদ দেখা কমিটি একেকবার একেক ঘোষণা দেয়, রাত আটটায় বলে আগামীকাল ঈদ আবার ১২ টায় বলে পরশু ঈদ। তাই চাঁদ দেখা কমিটির উপর নির্ভর করে থাকাটা বোকামি, চাঁদ দেখা কমিটির উপর নির্ভর না করে থেকে নিজেই চাঁদ দেখুন। চাঁদ দেখা আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাত।

images-3

সৌদি আরবে রোজার ঈদ কবে?

সাধারণত মক্কায় ঈদ উদযাপন এর পরের দিনই বাংলাদেশে ঈদ পালিত হয়। এবারের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২রা মে,সমবার মক্কাতে ঈদ পালিত হবে। সুতরাং বলাই যায় আগামী ৩রা  ই মে, মঙ্গলবার বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর পালিত হচ্ছে।

এক্ষেত্রে, আমরা জানি যে হিজরি সনের মাসগুলো সাধারণত চাঁদ দেখা সাপেক্ষে শুরু হয় বিধায় ধর্মীয় আচার শবে বরাত, রোজা, শবে কদর, রোজার ঈদ বা ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ কোন মাসের কত তারিখে তা পূর্বে নির্ধারন করা যায় না। তবে, বর্তমানে বিজ্ঞানের কল্যানে নতুন চাঁদ গণনা আগে থেকেই করা সম্ভব। তো দেখে নেয়া যাক ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতর বা রোজার ঈদ কোন মাসের কত তারিখে হবে।

বাংলাদেশের রোজার ইদের তারিখ ২০২৩

বিষয়টি আরো পরিস্কার করার জন্য বলতে হয়, আমরা জানি যে হিজরি সনের মাসগুলো সাধারণত ২৯ ও ৩০ দিনে পূর্ণ হয় থাকে। অর্থাৎ এক মাস ৩০ দিনের হলে পরবর্তী মাস ২৯ দিনে সম্পন্ন হয়। এটি বিবেচনায় নিয়েও আমরা হিসাব করতে পারি।
ঈদুল ফিতর যদিও সম্পুর্ন চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে তবুও সম্ভাব্য ডেট হিসেবে আগামী ৩রা মে,২০২৩ পালিত হতে যাচ্ছে ঈদুল ফিতর।
এদিনে ধনী- গরিব সকলের কাছে উৎসবের দিন।

download-7

সবাই এই দিন ঈদ উৎসবে মেতে থাকে, নতুন জামাকাপড় পরে বাচ্চাদের ঈদগাহে দেখা যায়। চারিদিকে উৎসবের আমেজ লেগে যায়,সবার ঘরে ঘরে সেমাই রান্না হয়। এদিন ধনী-গরীব সবার ঘরে আনন্দ থাকে এবং সকলেই আনন্দের সাথে ঈদ উদযাপন করে। মুসলিমরা সকালে জামায়াত করে ঈদের সালাত আদায় করেন।

২০২৩ সালের রোজার ইদের চাঁদ কবে উঠবে

যেহেতু ২০২৩ সালের রমজান হিজরি  ১৪৪৪ সনে সেহেতু হিজরি ১৪৪৪ সনের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশে রমজান মাস শুরু হবে এপ্রিল মাসের ৩ তারিখ। এছাড়া, পূর্ববর্তী মাস অর্থাৎ শাবান মাস যেহেতু ২৯ দিনে মাস পূর্ণ হবে সেহেতু পবিত্র রমজান মাস ৩০ দিনের হবে বলে আমরা আশা করছি। সে হিসেবে ঈদুল ফিতর ২০২৩ বা আরবি বছরের একাদশতম মাস শওয়াল শুরু হবে ৩ মে ২০২৩। আর সেই হিসেবে ২০২৩ সালের পবিত্র ঈদুল ফিতর আমাদের বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে তেশরা মে ২০২৩ মঙ্গলবার।

২০২৩ সালের রোজার ঈদের সম্ভাব্য তারিখঃ ২১ এপ্রিল শনিবার ২০২৩

রোজার ঈদের ইতিহাস

আসসালামু আলাইকুম। আমরা মুসলিম আমাদের নানা রকমের ধর্মীয় নিয়ম ও উৎসবের ব্যবস্থা আছে।  বৈচিত্র্যহীন এই কর্মব্যস্ত জীবনের ক্লান্তি দূর করতে মাঝে মাঝে উৎসবের প্রয়োজন হয়।  যেন মানুষ তার প্রতিদিনের একঘেয়ে জীবনের সংকীর্ণ গণ্ডি থেকে বের হয়ে আত্মীয়তা, বন্ধুত্ব ও ভালোবাসার মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে পারেন। নিরুদ্যম প্রাণে শক্তি ও কর্মপ্রেরণা জোগাতে পারে।  পৃথিবীজুড়ে সব জাতি ও সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যেই বিভিন্ন উৎসব আছে। উৎসব জাতিগত ঐক্যের চেতনাও সৃষ্টি করে। উৎসবের দিনগুলোও যেকোনও জাতির স্বাতন্ত্র্য ও পৃথক পরিচয় বহন করে।

মুসলমানদের পৃথক উৎসবের সূচনা হয় দ্বিতীয় হিজরি অর্থাৎ ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দে। রাসুল (সা.) যখন মক্কা থেকে হিজরত করে মদিনায় গেলেন, তখন সেখানে প্রচলিত দু’টি উৎসবের দিন ছিল; ১। শরতের পূর্ণিমায় ‘নওরোজ’ এবং ২। বসন্তের পূর্ণিমায় ‘ মেহেরজান’।
রাসুল (সা.) জিজ্ঞাসা করলেন, এই দুই দিন কীসের? মদিনাবাসীরা বললেন, জাহেলি যুগ থেকে আমরা এই দুই দিন খেলাধুলা ও আনন্দ করি। রাসুল (সা.) বললেন, আল্লাহ এই দুই দিনের বদলে তোমাদের নতুন দু’টি উৎসবের দিন দিয়েছেন: ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। (মুসনাদে আহমদ ১৩০৫৮)।

‘ঈদ’ শব্দটি আরবি ‘আওদ’ থেকে উৎকলিত। ‘আওদ’ অর্থ ঘুরে আসা, প্রত্যাবর্তন করা। ঈদ মানে প্রতি বছর ঘুরে ঘুরে আসে এ রকম একটি দিন। আরবিতে বিশেষ দিবস বা উৎসবের দিনকে ঈদ বলে। ফিতর অর্থ রোজা ভাঙা বা ইফতার করা। আমাদের কাছে পরিচিত ‘রোজার ঈদ’কে ইসলামি পরিভাষায় বলা হয় ঈদুল ফিতর বা রোজা ভাঙার উৎসব। পুরো রমজানে প্রতিদিন সূর্যাস্তের পর মুসলমানরা উপবাস ভাঙে। এটা শুধু সেদিনের রোজা বা উপবাসের ইফতার।

ঈদের দিন এক মাসের নিয়মিত উপবাস ভাঙা হয়। সেটাও এক রকম ইফতার। রোজাদারের জন্য প্রত্যেক দিনের ইফতারের মুহূর্তই আনন্দের, ঈদুল ফিতরের দিন বিশেষভাবে আনন্দের ও উৎসবের। রাসুল (সা.) বলেছেন, রোজাদারের জন্য দু’টি আনন্দক্ষণ রয়েছে, ইফতারের সময় সে আনন্দিত হয়, রবের সঙ্গে দেখা করার সময় আবার সে আনন্দিত হবে। (বুখারি ৭৪৯২)।

ঈদুল ফিতরের দিন মুসলমানরা আনন্দিত হয় রমজানের রোজা সফলভাবে রাখতে পারা এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রাপ্তির কারণেও। এটা রোজাদার মুসলমানদের জন্য পুরস্কারের দিন। হজরত আউস আল আনসারী (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ঈদুল ফিতরের দিন সকালে ফেরেশতারা রাস্তায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে যান এবং মুসলমানদের উদ্দেশে বলতে থাকেন, “হে মুসলমানগণ, তোমরা দয়ালু প্রতিপালকের দিকে এগিয়ে এসো। উত্তম প্রতিদান ও বিশাল সাওয়াব-প্রাপ্তির জন্য এগিয়ে এসো। তোমাদের রাত্রিবেলার নামাজের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তোমরা সে নির্দেশ মেনে নামাজ পড়েছো। তোমাদের দিনে রোজা রাখতে বলা হয়েছিল, তোমরা সে নির্দেশও পালন করেছো, এক মাস রোজা রেখেছো। গরিব দুঃখীদের আহার করানোর মাধ্যমে নিজের প্রতিপালককে তোমরা আহার করিয়েছো। এখন নামাজ পড়ে এসব পুণ্যকর্মের প্রতিদান ও পুরস্কার গ্রহণ করো।”

ঈদুল ফিতরের একটি ওয়াজিব বা আবশ্যিক আমল হলো সালাতুল ঈদ বা ঈদের নামাজ। ঈদের উৎসব শুরু হয় এই সালাতের মাধ্যমে। ঈদের দিন প্রথম প্রহরে ধনী-দরিদ্র আমির-ফকির নির্বিশেষে সব মুসলমান এক কাতারে দাঁড়ায়। একসঙ্গে আল্লাহর পবিত্রতা ও মহত্ব ঘোষণা করে। পরস্পরের খোঁজ-খবর নেয় ও কুশল বিনিময় করে। ইসলামে মুসলমানদের এই সম্মিলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাসুল (সা.) নারী পুরুষ নির্বিশেষ সবাইকে ঈদগাহের জমায়েতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকি কোনও নারী যদি ঋতুমতী হওয়ার কারণে নামাজ পড়তে না পারেন, তাকেও ঈদগাহে উপস্থিত হতে বলেছেন।

উম্মে আতিয়্যা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাবালিকা, পর্দানশীন ও ঋতুমতী নারীদের ঈদের সালাতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ঋতুমতী নারীরা সালাতে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবে তবে পুণ্যের কাজ (দান-সদকা) ও মুসলমানদের দোয়ায় অংশগ্রহণ করবে।

ঈদের আরেকটি আবশ্যিক আমল হলো “সদকাতুল ফিতর”।  রমজানে আদায়কৃত আমলের ত্রুটি দূর করতে ও ক্ষমা প্রাপ্তি খুশীতে মুসলমানরা সদকাতুল ফিতর আদায় করে। সামর্থ্যবান ও সচ্ছল মুসলমানদের ওপর সদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব। ধনী দরিদ্র নির্বিশেষে সবার মধ্যে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতেই সদকাতুল ফিতরের বিধান এসেছে।

ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম রোজাকে বেহুদা ও অশ্লীল কথা-আচরণ থেকে পবিত্র করার উদ্দেশ্যে এবং দরিদ্রদের খাদ্যের ব্যবস্থা করার জন্য সাদাকাতুল ফিতর ফরজ করেছেন। (সুনানে আবু দাউদ ১৬০৯)।

আমাদের দেশে হিজরি সনের ক্যালেন্ডার বা আরবি ক্যালেন্ডার এর প্রচলন না থাকায় আমরা প্রায়শঃই গুগলের সহযোগিতা নিয়ে খুজতে থাকি ‘হিজরি ক্যালেন্ডার।  হিজরি ১৪৪৪ সনটি ইংরেজি ২০২১ সালে শুরু হয়ে শেষ হবে ২০২৩ সালে।

আরবি ১২ মাসের নাম বাংলায়

আরবি মাসের নামগুলো :-

১. মহরম,
২. সফর,
৩. রবিউল আউয়াল,
৪. রবিউস সানি,
৫. জমাদিউল আউয়াল,
৬.জমাদিউস সানি,
৭. রজব,
৮. শাবান,
৯. রমজান,
১০. সওয়াল,
১১. জিলকদ ও
১২. জিলহজ।

আরও তথ্য এবং আপডেটের জন্য আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে যোগ দিন

আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

EDUINFOBD OFFICIAL

Related Articles