Breaking news

১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবসের বিভিন্ন উক্তি রচনা স্ট্যাটাস প্রতিপাদ্য বিষয় এসএমএস শুভেচ্ছা বার্তা

গত বছর শিশু দিবস এর প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুর হৃদয় হোক রঙিন।

১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবসের বিভিন্ন উক্তি রচনা স্ট্যাটাস প্রতিপাদ্য বিষয় এসএমএস শুভেচ্ছা বার্তা

গত বছর শিশু দিবস এর প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুর হৃদয় হোক রঙিন।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ও বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয় প্রতিবছর ১৭ ই মার্চ তারিখে।এবছর ১৭ ই মার্চ ২০২৩ তারিখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হবে। ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবসের বিভিন্ন উক্তি রচনা স্ট্যাটাস প্রতিপাদ্য বিষয় এসএমএস শুভেচ্ছা বার্তা

শিশু দিবস এর প্রতিপাদ্য বিষয় ২০২৩

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন কে কেন্দ্র করে ১৯৯৭ সালে ১৭ ই মার্চ জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এবং এ দিনটিকে সাধারণ ছুটি হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়।

জাতীয় শিশু দিবসের রচনা

বাংলাদেশ অন ১৯৯৭ সালে থেকে জাতীয় শিশু দিবস পালন করে আসছে। বঙ্গবন্ধু যে দিনটিতে পৃথিবীর আলো দেখেছিলাম সেদিন টি কে শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে কারণ সেদিনটিতে তিনিও একজন ছিলেন।জাতির পিতা হিসেবে যেমন আমরা তাকে নিয়ে গর্ব করি ঠিক তেমনি জাতির পিতা যেদিন শিশু ছিলেন সেদিনটি শিশু দিবস হিসেবে পালন করে আমরা বঙ্গবন্ধুকে আরো ভালোভাবে স্মরণ করতে পারি। বঙ্গবন্ধু শিশুদের অত্যন্ত স্নেহ করতেন এবং ভালোবাসতেন। শিশুদের সাথে ছিল তার বন্ধুত্বের সম্পর্ক। ছেলেদের সাথে তিনি সব সময় হাসি, খেলা, গল্প করতেন।বঙ্গবন্ধুর অনেক স্থিরচিত্রে দেখা গিয়েছে তিনি শিশুদেরকে একটি বিছানার উপর নিয়ে খেলাধুলা করছেন। কেউ তার পাশে শুয়ে রয়েছে কেউ তার মাথা টিপে দিচ্ছে কেউ তার বুকের উপর উঠে তার সাথে খেলা করছে। এসকল আরো অনেক ছবি দেখে বোঝা যায় বঙ্গবন্ধু শিশুদেরকে কত ভালোবাসতেন।

image

1

2
3
4

১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবসের বিভিন্ন উক্তি

বঙ্গবন্ধু একটি দেশকে স্বাধীনতার সূর্য দেখিয়েছিলেন।তিনি জানতেন একটি দেশ গড়তে হলে দেশের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ এর যত্ন নিতে হবে। তিনি বিশ্বাস করতেন আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তারাই এ দেশটাকে একটি সুন্দর দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে। তারা যখন তরুণ হবে তখন তাদের মধ্য দিয়েই এ দেশটি সারা পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। তাই তার শিশুর প্রতি স্নেহ মমতা দেখে পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে থেকে ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।এবং সেদিন থেকেই এটি কে শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

image

জাতীয় শিশু দিবস কবে?

বঙ্গবন্ধু এদেশকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি এ দেশকে একটি সভ্য এবং উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে তৈরি করার জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।তিনি জানতেন যে একটি দেশ সুস্থ এবং সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য প্রথমে এদেশের যারা ভবিষ্যৎ তাদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত এবং অনেক যত্নে বড় করা লাগবে।সেজন্য তিনি সকল সময় এদেশের শিশুদেরকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা, স্নেহ এবং ভালোবাসা দেখিয়েছেন। শিশুদের জন্য তিনি ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ। শিশুদের উদ্দেশ্যে তার বিভিন্ন কার্যক্রম এবং শিশুদের বিভিন্ন ভাবে গড়ে তোলার জন্য তার যে পরিশ্রম তা দেখে বোঝা যায় তিনি শিশুদেরকে কত ভালোবাসতেন।

জাতীয় শিশু দিবস এর স্ট্যাটাস

শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসার কারণেই আওয়ামী লীগ সরকার যখন প্রথম মেয়াদে বাংলাদেশ সরকার গঠন করে তখন ১৭ ই মার্চ কে শ্রেণীভুক্ত জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। প্রথমে এ দিনটিকে সাধারণ ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা না হলেও পরবর্তীতে এ দিনটিকে জুটি হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

কবি সৈয়দ শামসুল হক বলেছেন:

যেখানে ঘুমিয়ে আছো শুয়ে থাকো বাঙালির মহান জনক,

তোমার সৌরভ দাও, দাও শুধু প্রিয় কন্ঠ সৌর্য আর অমিত সাহস।

টুঙ্গিপাড়া গ্রাম থেকে আমাদের গ্রাম গুলো তোমার সাহস নেবে,

নেবে ফের বিপ্লবের দুরন্ত প্রেরণা।

সারা পৃথিবীতে শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সচেতনতা সৃষ্টির জন্য শিশু দিবস পালন করা হয়। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও একাধিকবার সারা পৃথিবীতে শিশু দিবস পালন করা হয়।পৃথিবীর অনেক দেশ রয়েছে যারা নিজ নিজ দেশে নিজের মতন করে জাতীয় শিশু দিবস পালন করে।অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ পালন করা হয় আন্তর্জাতিকভাবে সারা বিশ্বে। আবার ২০ নভেম্বর তারিখে বিশ্ব শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ।সুতরাং সারা পৃথিবীতে যেখানে যেভাবে শিশু দিবস পালন হোক না কেন আমাদের মূল লক্ষ্য একটি শিশুদেরকে একটি সুন্দর সুস্থ শৈশব দেওয়া, শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সচেতনতা সৃষ্টি করা।

জাতীয় শিশু দিবসের এসএমএস

আপনারা অনেকেই জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে অনেক মানুষকে জাতীয় শিশু দিবসের এসএমএস পাঠান। তাদের জন্য আমাদের এই নিবন্ধে জাতীয় শিশু দিবসের কিছু ভালো ভালো এসএমএস প্রকাশ করছি। আপনি এখান থেকে জাতীয় শিশু দিবসের এসএমএস ডাউনলোড করে আপনার প্রিয়জনকে পাঠাতে পারবেন। তার আগে বলে রাখি আন্তর্জাতিক শিশু দিবস পালিত হয় ১ জুন।এর বাহিরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের নিজের গুরুত্বপূর্ণ কোন দিন বিবেচনা করে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করে। যুক্তরাষ্ট্রে শিশু দিবস পালন করা হয় জুন মাসের দ্বিতীয় রবিবার। পাকিস্তানি শিশু দিবস পালন করা হয় পহেলা জুলাই এবং চীনে শিশু দিবস পালন করা হয় ৪ এপ্রিল। ব্রিটেনে শিশু দিবস পালন করা হয় আগস্ট মাসের ৩০ তারিখ, জাপানে পালন করা হয় মে মাসের ০৫ তারিখে, পশ্চিম জার্মানিতে শিশু দিবস পালন করা হয় ২০ সেপ্টেম্বর। শিশু দিবসের তারিখ আলাদা হলেও সব দেশেই শিশু দিবস পালনের উদ্দেশ্য একই।একটি দেশের শিশুদের অধিকার ও তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে পুনরায় একবার সচেতনতা বার্তা দেয়া হলো শিশু দিবসের প্রধান উদ্দেশ্য।

image

জাতীয় শিশু দিবসের শুভেচ্ছা বার্তা

একটি দেশের ভবিষ্যৎ অথবা একটি জাতির ভবিষ্যৎ হচ্ছে সে দেশের শিশুরা। কথায় রয়েছে আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।এজন্য প্রতিটি শিশুদের শিক্ষা, সঠিক ইতিহাস ও মানসিক বিকাশ পরিপূর্ণভাবে গঠনের জন্য শিশুদেরকে সেভাবে বেড়ে উঠতে দিতে হবে। এখন আমাদের দেশের দরিদ্র তার হার অনেক বেশি। দরিদ্রতা লাঘবের জন্য শিশুরা অনেক শিশুশ্রম করে থাকে। বাংলাদেশ শিশুশ্রম নিষিদ্ধ।কিন্তু তবুও অভাবের তাড়নায় শিশুরা শিশুশ্রমে জড়িয়ে পড়ে।এজন্য আমাদের দেশের শিশুরা তাদের প্রাপ্য মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।যে বয়স একটি শিশুর পড়ালেখা খেলাধুলা করে বেড়ে ওঠার কথা সে বয়সে তারা এগুলো থেকে বঞ্চিত হয়।বিভিন্ন কল কারখানা হোটেল ওয়ার্কশপ দোকানপাট ইত্যাদি তে তাদের অমানুষিক পরিশ্রমে জড়িয়ে পড়তে হয়। বর্তমান সরকার শিশুদের কথা বিবেচনা করে শিশুদের বিনামূল্যে লেখাপড়া এবং সকল প্রকার শিক্ষাপোকরণ শিক্ষা বৃত্তির ব্যবস্থা করেছেন।এর উদ্দেশ্য হচ্ছে যাতে একটি শিশুও যেন লেখাপড়ার থেকে ছিটকে না পড়ে এবং শিশুরা যেন ঝুঁকিপূর্ণ কাজের সাথে জড়িত না হয়ে পড়ে।

২০২৩ সালে বঙ্গবন্ধুর কততম জন্মদিন?

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম হয়েছিল হাজার ১৯২০ সালের ১৭ ই মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া তে। ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মবার্ষিকী। এ দিনটিকে যেহেতু জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয় সেহেতু সে উপলক্ষে দেশব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই দিনে রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী প্রদান করবেন।

জাতীয় শিশু দিবসের তাৎপর্য

ব্যাপক ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে এবং শিশুদের অনাবিল হাসির মধ্য দিয়ে এ দিনটিকে বাঙালি জাতি রা যেন সারা জীবন মনে রাখে এবংকোন শিশু যেন অবহেলার শিকার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য জাতীয় শিশু দিবসের যত আয়োজন। সারাদেশে বিভিন্ন ধর্মে প্রতিষ্ঠান দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।স্বেচ্ছাসেবী মূলক অনেক সংগঠন সারা দেশে অনেক সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। অনেক সংগঠন রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করেছেন। হাসপাতাল ও জেলখানাগুলো তে ভালো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Related Articles