অনলাইনে ১০৯ তম প্রাইজবন্ড ড্র চেক করার নিয়ম
অনলাইনে ১০৯ তম প্রাইজবন্ড ড্র চেক করার নিয়ম জানতে চাইলে আজকের পোস্টটি আপনাকে বিশেষভাবে সাহায্য করবে।
অনলাইনে ১০৯ তম প্রাইজবন্ড ড্র চেক করার নিয়ম জানতে চাইলে আজকের পোস্টটি আপনাকে বিশেষভাবে সাহায্য করবে।
Table of Contents
অনলাইনে ১০৯ তম প্রাইজবন্ড ড্র চেক করার নিয়ম
আমাদের দেশে প্রাইজবন্ডটি চালু হয় ১৯৯৫ সালে যখন প্রাইজবন্ডের মূল্য ছিল ১০ থেকে ৫০ টাকা। মূলত বিশ্ববাজারে ১৯৫৬ সালে আয়ারল্যান্ডে প্রথম চালু হয় প্রাইজবন্ড। আমাদের দেশে প্রাইজবন্ডটি চালু হওয়ার পরবর্তীতে পূর্বের ১০ থেকে ৫০ টাকা মূল্য মানে প্রাইজবন্ডগুলো ব্যাংক থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় বা তুলে নেওয়া হয়। অনলাইনে ১০৯ তম প্রাইজবন্ড ড্র চেক করার নিয়ম
বাংলাদেশ ব্যাংকক নিয়ন্ত্রিত এই প্রাইজবন্ড একজন ব্যক্তি সর্বমোট 45 লাখ টাকা সমপরিমাণ প্রাইজবন্ড কিনতে পারেন। এবারে ২০২৩ সালের প্রাইজবন্ডটি একত্রিশ অক্টোবর তারিখে দেশের সমগ্র নিউজ পোর্টাল তথা অনলাইন অফলাইন এবং দৈনিক কাগজগুলোতে প্রকাশিত হয়।
প্রাইজবোর্ড সম্পর্কিত বিশেষ কিছু তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরছি
প্রাইজবন্ডের ফলাফল :- ১০৯ তম
প্রকাশিত হয়েছে :- ৩১শে অক্টোবর ২০২৩
প্রাইজবন্ডের যাবতীয় কাজ করে :- বাংলাদেশ ব্যাংক
প্রাইজবন্ডের গ্রাহক:- সরকারের একটি সুদ মুক্ত বিনিয়োগ
প্রাইজবন্ড কোথায় কিনতে পাবেন:- বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত বিশেষায়িত ব্যাংক থেকে ।
প্রাইজবন্ডের মেয়াদ কতদিন?
আমাদের দেশে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তক যে প্রাইজবন্ডটি জনসাধারণের জন্য চলমান রয়েছে। সেটির মূলত কোন মেয়াদ নেই। এটির মেয়াদ কখনো শেষ হয় না। মজার বিষয় হলো এটি কয়েকবার ড্র হওয়ার পরেও। আপনি যদি প্রাইজবন্ডের পুরস্কার অথবা প্রাইজ না পান। তবে সেগুলো ভাঙানো যায়।
ফলাফল দেখুন এখানে…
আপনি যদি প্রাইজবন্ডটি ভেঙ্গে নিয়ে থাকেন। তবে এর কোন মুনাফা আপনি পাবেন না। আপনি যে টাকা দিয়ে প্রাইজবন্ডটি কিনেছিলেন সমপরিমান টাকায় আপনি আবারও ফেরত পাবেন। এটি মূলত একটি দেশের সরকার সাধারণ মানুষদের জন্য সুদ মুক্ত বিনিয়োগ হিসেবে জনসাধারণের কাছে বিতরণ করে থাকেন। অনেকেই এদিকে মুক্ত বন অর্থাৎ মুক্ত জাতীয় বন বলে থাকেন।
প্রাইজবন্ড চেক ২০২৩
প্রাইজবন্ড চেক করতে হলে প্রথমত আপনাকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। তবে সমস্যার কথা হলো এটাই যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রাইজবন্ড চেক করার মতো তেমন কোন অপশন দেওয়া থাকে না। আপনাকে আপনার প্রাইজবন্ডের নম্বরটি চেক করতে হলে প্রকাশিত ছবিতে মিলিয়ে নিতে হবে।
১ম পুরস্কার দেখুন…
অনেকের এমন হয় যে অনেকগুলো প্রাইজবন্ড কেনা থাকে। যার জন্য অনেকেই চান প্রাইজবন্ডগুলো যাতে একই সিরিয়ালে থাকে। কিন্তু যারা প্রাইজবন্ড ইতিপূর্বে কিনেছেন তারা জানেন যে, প্রাইজবন্ডের সিরিয়াল কোন সময় ঠিকঠাক থাকে না। দুইটি তিনটি সংখ্যা একরকম থাকলেও সবগুলো সংখ্যা একই সিরিয়ালে কেউ কখনো কিনতে পারে না বা নিতে পারেনা।
১০৯ তম প্রাইজবন্ড পুরস্কার
প্রাইজবন্ডে যে ব্যক্তি বা যারা প্রথম পুরস্কার পেয়ে থাকেন। তারা মূলত ছয় লক্ষ টাকার প্রথম পুরস্কারটি পান দ্বিতীয় পুরস্কার টি হল ৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা
নিচে উল্লেখিত ছকটির মাধ্যমে প্রাইজবন্ড সম্পর্কিত তথ্য গুলো আপনারা সহজেই জানতে পারবেন।
প্রাইজবন্ড সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য |
প্রাইজবন্ডের প্রথম পুরস্কার হল ৬ লক্ষ টাকা |
দ্বিতীয় পুরস্কার হল ৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা |
এবং তৃতীয় পুরস্কার ১ লক্ষ টাকা |
চতুর্থ পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা |
এবং পঞ্চম পুরস্কার বিজয় পাবেন ১০০০০ টাকা করে |
প্রাইজবন্ডের ফলাফল দেখার নিয়ম
পূর্বেই আলোচনা করেছিলাম প্রাইজবন্ডের ফলাফল দেখার জন্য বিশেষ কোনো নিয়ম নেই। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তক যে ফলাফলটি প্রকাশ করা হয়। সেটি বিস্তারিতভাবে একটি ছবির মাধ্যমে গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়ে থাকে। আপনি চাইলেই সহজেই সেই ছবির মাধ্যমে আপনার প্রাইজবন্ডের ফলাফলটি দেখে নিতে পারেন।
নিচে সেই ছবিটি আপনাদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো।
একক সাধারণ পদ্ধতিতে (অর্থাৎ প্রত্যেক সিরিজের জন্য একই নম্বর) এই ‘ড্র’ পরিচালিত হয় এবং বর্তমানে প্রচলনযােগ্য ১০০/- (একশত) টাকা মূল্যমানের ৬৮ (আটষট্টি)টি সিরিজ যথা-কক, কখ, কগ, কঘ, কঙ, কচ, কছ, কজ, কঝ, কঞ, কট, কঠ, কড, কঢ, কথ, কদ, কন, কপ, কফ, কব, কম, কল, কশ, কষ, কস, কহ, খক, খখ, খগ, খঘ, খঙ, খচ, খছ, খজ, খঝ, খঞ, খট, খঠ, খড, খঢ, খথ, খদ, খন, খপ, খফ, খব, খম, খল, খশ, খষ, খস, খহ, গক, গখ, গগ, গঘ, গঙ, গচ, গছ, গজ, গঝ, গঞ, গট, গঠ, গড, গঢ়, গথ এবং গদ এই ‘ড্র’-এর আওতাভুক্ত ৪৬ টি সাধারণ সংখ্যা পুরস্কারের যোগ্য বলে বিবেচনা করা হবে।