বিদেশে টাকা পাঠানো ও আনার উপায়
বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসা অর্থের একটি বড় অংশ আসে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স এর মাধ্যমে। যার বড় একটি অংশ আসে প্রবাসে অবস্থানরত অদক্ষ কর্মীদের নিকট হতে। পুরো বছরে প্রবাসীরা ২ হাজার ১৭৪ কোটি মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন।
বিদেশে টাকা পাঠানো ও আনার উপায়
বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসা অর্থের একটি বড় অংশ আসে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স এর মাধ্যমে। যার বড় একটি অংশ আসে প্রবাসে অবস্থানরত অদক্ষ কর্মীদের নিকট হতে। পুরো বছরে প্রবাসীরা ২ হাজার ১৭৪ কোটি মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ কমবেশি ১ লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরীফুল হাসান জানান যে প্রতি বছর ঠিক কত সংখ্যক প্রবাসী শ্রমিক দেশে পাঠানো টাকা নিয়ে প্রতারণার শিকার হন, তার সঠিক কোন পরিসংখ্যান তাদের কাছে নেই। বিদেশে টাকা পাঠানো ও আনার উপায়
বিদেশি রেমিটেন্স আনার নিয়ম
“তবে আমরা যারা প্রবাসীদের নিয়ে কাজ করি, বিশেষ করে বিমানবন্দরে একটি জরুরি সেবা দেই, আমরা দেখেছি যে প্রায়ই এই ধরণের ঘটনা ঘটে। যে মানুষদের জন্য তারা বিদেশে থেকে কষ্ট করে টাকা পাঠাচ্ছেন, তারা সেগুলো খরচ করে ফেলছে, তাদের গ্রহণ করতে চায় না,” বিবিসি বাংলাকে জানাচ্ছিলেন তিনি।
ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরীফুল হাসান জানান যে প্রতি বছর ঠিক কত সংখ্যক প্রবাসী শ্রমিক দেশে পাঠানো টাকা নিয়ে প্রতারণার শিকার হন, তার সঠিক কোন পরিসংখ্যান তাদের কাছে নেই।
“তবে আমরা যারা প্রবাসীদের নিয়ে কাজ করি, বিশেষ করে বিমানবন্দরে একটি জরুরি সেবা দেই, আমরা দেখেছি যে প্রায়ই এই ধরণের ঘটনা ঘটে। যে মানুষদের জন্য তারা বিদেশে থেকে কষ্ট করে টাকা পাঠাচ্ছেন, তারা সেগুলো খরচ করে ফেলছে, তাদের গ্রহণ করতে চায় না,” বিবিসি বাংলাকে জানাচ্ছিলেন তিনি
কিভাবে বিদেশ থেকে রেমিটেন্স পাঠানো যায়
প্রবাসীরা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ বিদেশ থেকে দেশে পাঠানোর পর পরবর্তীতে তাদের নিকট আত্মীয় স্বজন হতে প্রতারণার শিকার হন। প্রবাসীদের পাঠানো কষ্টার্জিত অর্থ তাদের স্বজনরা খরচ করে ফেলেন বা নিজেদের নামে অর্থ-সম্পদ করে নেন যার ফলে প্রবাস থেকে ফেরার পরে প্রবাসীরা নিঃস্ব হয়ে পড়েন। এর একটি বড় কারণ হলো অনেক প্রবাসীরাই জানেন না প্রবাস থেকে কোন পদ্ধতিতে রেমিটেন্স দেশে পাঠালে তারা ভোগান্তির শিকার হবেন না।
• বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, গত সেপ্টেম্বরে ২১৫ কোটি ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আগস্টে আসে ১৯৬ কোটি ডলার। আর গত জুলাইয়ে ছিল একক মাস হিসেবে রেমিট্যান্সের সর্বোচ্চ রেকর্ড, ২৫৯ কোটি ডলার। এর আগে এক মাসে এত বেশি রেমিট্যান্স আসার নজির নেই।
২০২০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত অভিবাসী (মাইগ্রেট) শ্রমিকরা ১৯.৬৯ বিলিয়ন টাকা আয় পাঠিয়েছিলেন। প্রবাহের এই ধারা অব্যাহত থাকলে গত বছরের তুলনায় রেমিট্যান্সের পরিমাণ বাড়বে ১৭.৫শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি২০২৩ অর্থবছরে বেশি রেমিট্যান্স পাঠানোর দিক থেকে তালিকায় প্রথমে রয়েছে সৌদি আরব। প্রথম ১০ দেশের এই তালিকায় রয়েছে- আমেরিকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, ওমান, কুয়েত, কাতার, ইতালি ও সিঙ্গাপুর।
২০২৩ সালে রেমিটেন্সের পরিমান
চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ২১১৪.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ইউএসএ থেকে এসেছে ১০৯৫.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৯৬৭.৪ মিলিয়ন ইউএস ডলার, মালয়েশিয়া থেকে ৭৯৫.১ মিলিয়ন ইউএস ডলার, যুক্তরাজ্য থেকে ৬৮৮ মিলিয়ন ইউএস ডলার, ওমান থেকে ৬৪২.২ মিলিয়ন ইউএস ডলার, কুয়েত থেকে ৬২৪.৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার, কাতার থেকে ৪৪৯.৩ মিলিয়ন ইউএস ডলার, ইতালি থেকে ২৯০.৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার ও সিঙ্গাপুর থেকে ২৩৫.৯ মিলিয়ন ইউএস ডলার।
Top 10 places in Bangladesh
বিকাশে বিদেশে টাকা পাঠানো ও আনার উপায়
প্রবাসীদের নিয়ে কাজ করা একটি প্রতিষ্ঠান রামরুর চেয়ারম্যান তাসনিম সিদ্দিকী জানান, এমন অনেক দেখা গেছে যে প্রবাসীর টাকায় দেশে সম্পদ হয়েছে কিন্তু প্রবাসী যখন দেশে ফিরে এসেছে তখন তা বাবা ভাই বোনদের সাথে ভাগ করে নিতে হয়েছে। এমনও দেখা গেছে যে প্রবাসী তার ভাইয়ের নিকট টাকা পাঠিয়েছেন আর ভাই নিজের নামে সম্পদ করেছেন।
তাহলে কিভাবে প্রবাসীরা তাদের অর্থ সঞ্চয় করতে পারেন?
ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরীফুল হাসান জানান যে প্রতি বছর ঠিক কত সংখ্যক প্রবাসী শ্রমিক দেশে পাঠানো টাকা নিয়ে প্রতারণার শিকার হন, তার সঠিক কোন পরিসংখ্যান তাদের কাছে নেই।
“তবে আমরা যারা প্রবাসীদের নিয়ে কাজ করি, বিশেষ করে বিমানবন্দরে একটি জরুরি সেবা দেই, আমরা দেখেছি যে প্রায়ই এই ধরণের ঘটনা ঘটে। যে মানুষদের জন্য তারা বিদেশে থেকে কষ্ট করে টাকা পাঠাচ্ছেন, তারা সেগুলো খরচ করে ফেলছে, তাদের গ্রহণ করতে চায় না,” বিবিসি বাংলাকে জানাচ্ছিলেন তিনি।
রামরু এবং ব্রাকের অভিবাসনবিষয়ক কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
- অর্থ উপার্জনের জন্য বা চাকুরী নিয়ে যখন বিদেশে যাবেন তখন ঐ একজন প্রবাসীকে পরিকল্পনা করতে হবে তার অর্থ কিভাবে সঞ্চয় করবেন।
- প্রবাসীরা তাদের নিজের নামে ব্যাংকে নানা মেয়াদী হিসাব চালু করে যেতে পারেন যেখানে তাদের কষ্টার্জিত অর্থ সরাসরি ব্যাংকে জমা হবে।
- জমি বা বাড়ি কেনার জন্য অর্থ পাঠালে তা পুরোপুরি শোধ করার পূর্বে যাচাই করে নেবে যে সম্পত্তি তার নিজের নামে হচ্ছে কিনা। কারণ পরবর্তীতে দেশে ফিরে প্রবাসীরা মালিকানা জটিলতায় পড়েন।
মানি এক্সচেঞ্জ, ব্যাংকের শাখা এবং সংশ্লিষ্ট যেসব দেশ থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রেরণ করতে পারবেন, তার তালিকাঃ (নিচের ইমেজটি আপনার ফোনে বা পিসিতে সেইভ করে তারপর জুম করে দেখতে পারেন।)
বিকাশের মাধ্যমে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর নিয়ম
বিকাশের মাধ্যমে প্রবাসীরা খুব সহজে বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে পারেন:
• অনুমোদিত এবং পার্টনার ব্যাংক ব্রাঞ্চ/মানি এক্সচেইঞ্জ/এমটিও এজেন্ট-এর কাছে যান
• বিকাশ একাউন্ট নাম্বার এবং পুরো নাম প্রদান করুন (বিকাশ একাউন্ট খোলার সময় )
• প্রয়োজনীয় টাকা প্রদান করুন এবং ব্যাংক/মানি এক্সচেইঞ্জ/এমটিও এজেন্ট-কে কাজটি শুরু এবং সম্পন্ন করতে অনুরোধ করুন
ব্যাংক/এক্সচেইঞ্জ হাউজ/এমটিও এজেন্ট বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর নিয়ম
ব্যাংক/এক্সচেইঞ্জ হাউজ/এমটিও এজেন্ট বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর সময় নিম্নলখিত বিষয়গুলো নিশ্চিত করে থাকেনঃ
• প্রাপকের একটি রেজিস্টার্ড এবং বৈধ বিকাশ একাউন্ট রয়েছে
• প্রাপকের বিকাশ একাউন্ট নাম্বার এবং পুরো নাম সঠিকভাবে প্রদান করা হয়েছে
• পাঠানো রেমিটেন্স (বাংলাদেশী টাকায়) সীমা অতিক্রম করছে না।
[junkie-alert style=”green”] বিদেশ থেকে রেমিটেন্স পাঠালে বাড়তি প্রণোদনা দেয় রুপালি ও অগ্রণী ব্যাংক। [/junkie-alert]
আরো বিস্তারিত তথ্য ও সকল আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজটি ফলো করুন।