শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকার উপায়
সুস্থতা সকল সুখের মূল। শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকলে আমাদের সকল কাজে মন বসে। এর পাশাপাশি আমাদের পুরো দিনটি অনেক ভালো যায়। আর অপর দিকে আমাদের শরীরে কোনো রোগ বাসা বাধলে তখন সুস্থ থাকাটা কত বড় নিয়ামত তা বুঝতে পারি।
শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকার উপায়
প্রিয় Eduinfo বাসী সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলেই অনেক ভাল ও সুস্থ আছেন। সুস্থতা সকল সুখের মূল। শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকলে আমাদের সকল কাজে মন বসে। এর পাশাপাশি আমাদের পুরো দিনটি অনেক ভালো যায়। আর অপর দিকে আমাদের শরীরে কোনো রোগ বাসা বাধলে তখন সুস্থ থাকাটা কত বড় নিয়ামত তা বুঝতে পারি। শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে আমাদেরকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। আমরা যদি প্রতিদিন এই নিয়ম গুলো মেনে চলি তাহলে আমাদের শরীরে সহজে কোনো প্রকার রোগ বাসা বাধতে পারবে না। আমরা আমাদের শরীর নিয়ে যদি অবহেলা করে থাকি এবং আমাদের শরীরের ঠিক মত যত্ন না নিয়ে থাকি তবে এর কারণে আমরা খুব সহজেই অসুস্থ হয়ে পড়ব। কি ভাবে আপনি আপনার নিজ শরীরকে সুস্থ রাখবেন সেই সম্পর্কে আজকে আমরা আমাদের পোস্টে উল্লেখ করেছি। তাই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকার উপায়
শরীরকে সুস্থ থাকার টিপস
একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন, আমাদের মাঝে এমন অনেকে আছে যারা নানা রোগে খুব সহজেই আক্রান্ত হয়ে থেকে। তবে আমাদের মাঝে যারা অনেক বেশি পরিশ্রম করে তাদের শরীর ও মন দুটোই অনেক ভাল থাকে। এর পাশাপাশি তাদের শরীরে কোনো রোগ খুব সহজে বাসা বাধতে পারে না। বিশেষ করে লক্ষ্য করবেন যারা সারাদিনে কোনো প্রকার কাজ করে না তাদের অসুস্থ হবার সম্ভাবনা অনেকটা বেশি হয়ে থাকে। আমাদের অবশ্যই আমাদের শরীরকে সব সময় ফিট ও স্বাস্থ্যবান রাখতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, মাঝে মাঝে বেশি কিছু ভাল কিন্তু অতিরিক্ত বেশি কখনোই ভাল না। অনেকে মনে করেন মোটা ব্যাক্তি সুস্থ এবং চিকন লোক অসুস্থ। কিন্তু আমাদের এই ধারনাটা ভুল। কারন সুস্থ হলো সেই ব্যাক্তিকে বলা যাবে যার শরীরে কোনো রোগ নেই। অস্বাস্থ্যকর খাবার, কিছু বাজে নিয়ম, বাজে অভ্যাস গুলোর কারনে আমরা নিজের অজান্তে আমাদের শরীরে ভয়াবহ রোগ নিয়ে আনছি। আমরা যদি এখনই সতর্ক না হই তবে পরবর্তীতে অনেক বড় রোগে আক্রান্ত হয়ে যাব। শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকার উপায়
Top 10 Popular Foods of Bangladesh
স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল
আমাদের মনে রাখতে হবে শরীরটাই সবার আগে। কারণ শরীর ভাল না থাকলে কোনো কাজে মন বসবে না। আর এটাই বাস্তব সত্য। অনেক সময় দেখা যায় হঠাৎ করেই ঠান্ডা, জ্বর, সর্দি, কাশি চলে আসে। এর মূল কারণ আমাদের অবহেলা। আর এই অবহেলার জন্য আমাদের এই সকল অসুখ গুলো হয়ে থাকে। বর্তমানে কীটনাশক ব্যাবহার করা শাক সবজি বাজারে বেশি পাওয়া যায়। আপনি নিজেই একবার ভেবে দেখুন কীটনাশক প্রয়োগ করা এই শাক সবজি দেখতে অনেকটা ভালো হলেও তা আমাদের সাস্থ্য এর জন্য খুব খারাপ। যেসকল শাক সবজিতে কীটনাশক ব্যাবহার করা হয় না সে সকল শাক-সবজি অনেক সময় দেখতে খারাপ হলেও সেগুলো সাস্থ্য এর জন্য অনেকটাই ভালো।
শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকতে হলে করণীয়
শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকতে হলে যে নিয়মগুলো আমাদের অবশ্যই মেনে চলা উচিৎ সেগুলো হলো
নাম্বার ১
খাবার এর সঠিক নিয়ম
আমরা সামনে যখন যা পাই তাই খেয়ে আমাদের ক্ষুদা মিটিয়ে থাকি। এই অস্বাস্থ্যকর খাবার যে আমাদের দেহের জন্য কতটা খারাপ ও ঝুকিপূর্ণ তা আমরা কল্পনা করতে পারি না। যে খাবার গুলো ক্ষতিকর সে সকল খাবার আমাদের অবশ্যই পরিহার করা উচিৎ। ভেজাল বা অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার গুলোকে আমাদের সকলের পরিহার করা উচিৎ। এছাড়াও এমন অনেক খাবার রয়েছে, যে গুলো খেলে অনেক ক্ষতি হবার সম্ভাবনা আছে সেসকল খাবারগুলি আমাদের এড়িয়ে চলে। উদাহরণস্বরপ চিনি জাতীয় বা মিস্টি জাতীয় খাবার। যেগুলো গ্রহণ করলে ডায়াবেটিস হয়। অনেক প্রকার খাবার আছে যেগুলোতে রোগ সৃষ্টি হবার ঝুঁকি বেশি থাকে সেই সকল খাবার এড়িয়ে চলাই উত্তম। এরসাথে চেষ্টা করতে হবে কীটনাশকযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলার। ভেজাল জাতীয় খাবার গ্রহণ করলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি হয়ে থাকে। এছাড়াও ভেজাল যুক্ত খাবারের কারণে ক্যান্সারের পাশাপাশি আরো অনেক জটিল রোগ হয়ে থাকে। অনেকে সিগারেট সহ নানা নেশা করে থাকে। এই গুলো নেশা থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিৎ। কারন এই নেশা গুলো আমাদের বিপদ কারণ হতে পারে। কোনো প্রকার মাদকও আমাদের শরীরর প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখতে হবে। আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে স্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। অনেকে আছে অনেক বেশি পরিমানে খেয়ে থাকেন। আসলে বেশি পরিমানে খাবার গ্রহণ করা উচিৎ নয়। আপনার স্বাভাবিক ভাবে ঠিক যতটুকু দরকার তত টুকু খাবার গ্রহণ করা উচিৎ। খাবার এর দিকে সচেতন হলে আমাদের শরীর সুস্থ থাকবে ও এর পাশাপাশি আমাদের শরীরে সহজে কোন প্রকার রোগ বাসা বাধবে পারবেনা।
নাম্বার ২
ব্যায়াম ও হাটাহাটি
হাটাহাটি ও ব্যায়াম আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আমাদের মধ্যে এমন অনেকে আছেন যারা হাটাহাটি ও ব্যায়াম করার সময় পান না। সেই সকল ব্যক্তিদের শরীরে নানা অসুখ সহজে বাসা বেধে থাকে। আমরা যদি প্রতিদিন কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার হাটাহাটি ও ব্যায়াম করে থাকি, তাহলে আমাদের শরীরে খুব সহজে রোগ বাসা বাধতে পারবে না। আমাদের সকলের উচিৎ সকালে উঠে কমপক্ষে ১ থেকে ২ কিলোমিটার হাটাহাটি করা। এর পাশাপাশি সম্ভব হলে ব্যায়াম করা। সকালে ঘুম থেকে ওঠা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভাল। আমরা যতই ব্যাস্ত থাকি না কেন, আমাদের উচিৎ হাটাহাটি ও ব্যায়াম করা। কেননা, আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্য সবার আগে। আমাদের শরীর যদি ভাল না থাকে তবে আমাদের কোনো কাজেই মন বসবে না। এছাড়াও রাতে খাবার গ্রহণের পর রাতেও ইচ্ছা করলে আপনি সামান্য হাটাহাটি করতে পারেন।
Top popular foods in the world
নাম্বার ৩
শারীরিক পরিশ্রম করার অভ্যাস
আমাদের শারীরিক পরিশ্রম করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কারণ যারা পরিশ্রম করে তাদের শরীরে রোগ ব্যাধি অনেকটা কম। কিন্তু যারা শুয়ে বসে খাবার গ্রহণ করে তাদের শরীরে রোগ এর অভাব হয় না। আমরা যারা গ্রামে বসবাস করি, তারা নানা কাজে ব্যাস্ত থাকার জন্য শরীর অনেক ভাল থাকে। এবং তাদের শরীরে কোনো ভয়ানক রোগ সহজে বাসা বাধতে পারবে না। পরিশ্রম করলে শরীর ও মন অনেক ভাল থাকে। তাই আমাদের সকলের উচিৎ প্রতিদিন কমপক্ষে এক ঘন্টায় শারীরিক পরিশ্রম করার অভ্যাস গড়ে তোলা।
নাম্বার ৪
বদ অভ্যাস ত্যাগ করা
আমাদের অনেকর বিভিন্ন প্রকার বদ অভ্যাস রয়েছে। আরে বদ অভ্যাসগুলো আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা রাতে খাবার গ্রহণ করার পরপরই ঘুমাইতে যাই। আবার এমন অনেকেই আছেন যারা সকাল ১০-১২ টার আগে ঘুম থেকে উঠি না। এমন আরো অনেক অনেক বদ অভ্যাস আমাদের মাঝে কিছু ব্যক্তির রয়েছে। এই সকল বদ অভ্যাসের জন্য আমাদের অনেক রোগ হয়ে থাকে। তাই আমাদের উচিৎ এরকম বদ অভ্যাস ত্যাগ করা। আমাদের মনে রাখতে হবে স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল।
Top 10 places in Bangladesh
নাম্বার ৫
স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা বাইরের খাবার বেশি পছন্দ করে বিশেষ করে ফাস্টফুড গুলো। ফাষ্টফুড এর মধ্যে রয়েছে বার্গার, পিজ্জা, প্রচুর তেলেভাজা খাবার, চিপস সহ আরো অনেক কিছু। এ সকল ফাষ্টফুড বা অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের ফলে বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বিশেষ করে হার্ট এর সমস্যা, কিডনির সমস্যা, হার্ট ব্লক হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। তাই আমাদের উচিৎ এই সকল ফাষ্টফুড গুলো পরিহার করা। এবং সাস্থ্যকর খাবার বিশেষ করে সবুজ জাতীয় খাবার যেমন শাক সবজি বেশি আহার করা।
এই রকম আরো অনেক নিয়ম আছে যেগুলো আমাদের মেনে চলা উচিত। কারণ সুস্থ থাকতে হলে আমাদের সবার সতর্ক থাকতে হবে। এবং সকল নিয়ম মেনে চলতে হবে। তাহলে আমাদের শরীর ও মন সুস্থ থাকবে আর কাজে মনোযোগী হতে পারবো। এর পাশাপাশি কোনো প্রকার রোগেও আমরা সহজে আক্রান্ত হতে পারবো না।
আরো বিস্তারিত তথ্য ও সকল আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজটি ফলো করুন।