ইলন মাস্ক এর জীবনী
২০২২ সালে শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় ইলন মাস্ক প্রথম স্থান থাকলেও ২০২৩ সালে এসে তার অবস্থান দ্বিতীয়তম। তিনি প্রথম স্থান হারালেও এখনো জেফ বেজোস, বিল গেটস এর মত শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের থেকে ওপরের তালিকায় আছেন। আজকে আমরা আমাদের এই পোস্টে ইলন মাস্কের Net worth, লাইফস্টাইল এবং বায়োগ্রাফি সম্পর্কে আলোচনা করেছি।
ইলন মাস্ক এর জীবনী
২০২২ সালে শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় ইলন মাস্ক প্রথম স্থান থাকলেও ২০২৩ সালে এসে তার অবস্থান দ্বিতীয়তম। তিনি প্রথম স্থান হারালেও এখনো জেফ বেজোস, বিল গেটস এর মত শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের থেকে ওপরের তালিকায় আছেন। আজকে আমরা আমাদের এই পোস্টে ইলন মাস্কের Net worth, লাইফস্টাইল এবং বায়োগ্রাফি সম্পর্কে আলোচনা করেছি। ইলন মাস্ক এর জীবনী
ইলন মাস্ক কে?
বিশ্বের ২য় শীর্ষ ধনী ব্যাক্তি হলেন ইলন মাস্ক। তিনি একজন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রকৌশলী ও প্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তা। টুইটার, টেসলা, স্পেস এক্স সহ সর্ব মোট পাঁচটি কোম্পানির মালিক তিনি। ইলন মাস্কের আজকের বার্ষিক আয় ১৮১.৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার। ইলন মাস্ক এর জীবনী
বিশ্বের শীর্ষ ধনী বার্নার্ড আর্নল্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য
ইলন মাস্কের অজানা কিছু তথ্য
২০২৩ সালে এসে ইলন মাস্ক তার প্রথম স্থানটি হারিয়েছেন তবে বর্তমানে তিনি amazon.com এর প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজসকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় অবস্থানে স্থান পেয়েছেন। আজকে আমরা ইলন মাস্ক এর অজানা অনেক মজার তথ্য জানবো।
ইলন মাস্কের বায়োগ্রাফি
নাম | ইলন রিভ মাস্ক। |
জন্ম | ২৮ জুন ১৯৭১। |
স্থান | ট্রান্সভাল, দক্ষিণ আফ্রিকা। |
জাতীয়তা | দক্ষিণ আফ্রিকান, কানাডিয়ান, আমেরিকান। |
পিতার নাম | ইরল মাস্ক। |
মাতার নাম | মেই মাস্ক। |
পেশা | প্রকৌশলী, আবিষ্কারক, উদ্যোক্তা। |
পরিচিতির কারণ | পেপাল, টেসলার, স্পেস এক্স। |
উপাধি | স্পেস এক্স এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও, টেসলার সিইও ও প্রধান ডিজাইনার, টুইটারের সিইও, পেপালের প্রতিষ্ঠাতা। |
Net worth | ১৮১.৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার। |
ইলন মাস্ক ও তার পরিবার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য
১৯৭১ সালের ২৮ জুন ইলন মাস্ক দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রান্সভালে জন্মগ্রহণ করেন। ইলন মাস্কের পিতার নাম ইরল মাস্ক। তার পিতা একজন দক্ষিণ আফ্রিকার তড়িৎ প্রকৌশলী। এর পাশাপাশি তার পিতা বৈমানিক ও নাবিক পরামর্শ। তার মায়ের নাম মেই মাস্ক। তিনি একজন ডায়েটিশিয়ান এবং মডেল হিসেবে খ্যাত। ১৯৮০ সালে তোর পিতা মাতার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর তিনি তার পিতার সাথে তার শৈশবকাল কাটিয়েছেন। শৈশবকাল থেকে ইলন মাস্ক বই পড়তে পছন্দ করতেন। মাত্র ১২ বছর বয়সে বেসিক প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজকে সম্পূর্ণ আয়ত্ত করে ফেলেন। এরপর তিনি বেসিক প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে ব্লাস্টার নামে একটি ভিডিও গেম তৈরি করেন। পরবর্তীতে তিনি ব্লাস্টার গেমটি পিসি অ্যান্ড অফিস টেকনোলজি ম্যাগাজিন নামক কোম্পানির ৫০০ ডলারে কাছে বিক্রি করে দেন।
বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী ব্যাক্তির তালিকা ২০২৩
ইলন মাস্কের শিক্ষা জীবন
১৯৮০ সালে তার পিতা-মাতার বিবাহ বিচ্ছেদ হলে হাই স্কুল জীবন শেষ করে তিনি কানাডায় পাড়ি জমান। এরপর তিনি কানাডার অন্টারিও এর একটি ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন। তবে পরবর্তীতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইকোনোমি এবং ফিজিক্স বিষয়ে মাস্টার্স করেন। এরপর আরো উচ্চতর ডিগ্রীর জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে তিনি সে সময় পিএইচডি সম্পন্ন করতে পারেননি।
ইলন মাস্ক এর পছন্দের বিষয়
ইলন মাস্ক সবচেয়ে পছন্দের বিষয় হলো বই পড়া। অবসর সময়ে তিনি বই বিশেষ করে মাঙ্গা পড়তে বেশি পছন্দ করেন।
ইলন মাস্কের বৈবাহিক জীবন
ইলন মাস্ক মোট তিন বার বিয়ে করেছেন। সর্বপ্রথম তিনি ২০০০ সালে জাস্টিন মাস্ক এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তবে তাদের সংসার খুব বেশিদিন টিকতে সক্ষম হয়নি। ২০০৮ সালে তাদের ডিভোর্স হয়। এরপর ২০১০ সালে তিনি টালুলাহ রেইলিকে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের তাদের ডিভোর্স হয়। এরপর পুনরায় তিনি তার প্রথম স্ত্রীকে বিয়ে করেন। ইলন মাস্কের মোট ১০ জন সন্তান আছে।
Bdix কী বাড়িয়ে নিন আপনার WiFi স্পীড
ইলন মাস্কের উদ্যোক্তা হবার কাহিনী
উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি সর্বপ্রথম তার ভাইকে সাথে নিয়ে ১৯৫৫ সালে Zip-2 নামে একটি সফটওয়্যার কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে। পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালে ২২ মিলিয়ন ডলারে কমপ্যাক কোম্পানির কাছে তার কোম্পানিটি বিক্রি করে দেন। এরপর ১৯৯৯ সালে এক্স ডট কম অন্য একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। উক্ত প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য ছিল ডিজিটাল মাধ্যমে টাকা লেনদেন করা। পরবর্তীতে তিনি তো কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে Paypal রাখেন। তিনি ২০০২ সালে E-bay নামক কোম্পানির কাছে ১.৫ বিলিয়ন ডলারে Paypal বিক্রি করে দেন।
টেসলা কোম্পানির প্রতিষ্ঠা
২০০২ সালে Paypal কোম্পানিকে বিক্রি করে ১৬৫ মিলিয়ন ডলার লাভ করেছিলেন। ২০০৪ সালে বোর্ড অফ ডিরেক্টরস হিসেবে তিনি টেসলাতে যোগদান করেন। এরপর তিনি টেসলাতে অনেক পরিবর্তন আনেন। বর্তমানে টেসলা কোম্পানিকে তিনি একটি ব্র্যান্ড হিসেবে পুরো বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছেন।
ইলন মাস্কের ফিউচার প্ল্যান
স্পেস এক্স এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও ইলন মাস্ক মানবকে ২০৫০ সালের মধ্যে মঙ্গল গ্রহে নিয়ে যেতে চান। এর জন্য তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। মানবকে মঙ্গল গ্রহে নিয়ে যাওয়ার মত স্পেসশিপ গুলো এখনো তৈরি করতে সক্ষম না হলেও খুব দ্রুত স্পেসশিপ গুলো তিনি তৈরি করতে পারবেন বলে আশাবাদী।
বিতর্কিত চরিত্র হিসেবে ইলন মাস্ক
বিতর্কের জন্ম দিতে তিনি খুব পছন্দ করেন। কিছুদিন আগে টুইটারকে নিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন। অনেক জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে তিনি টুইটারকে কে কিনে নিয়েছিলেন। এছাড়া অনেকবার তিনি তার নিজের সহযোগীদের সাথে বিতর্কে জড়িয়েছেন।
Top popular foods in the world
ইলন মাস্কের মজার কিছু তথ্য
১. বাংলাদেশের জন্য তৈরীকৃত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট স্পেস এক্স কোম্পানি মহাকাশে পাঠিয়েছে। |
২. তিনি Paypal এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এ সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। |
৩. টেসলা কোম্পানি তৈরি হয় ২০০৩ সালে আর উক্ত কোম্পানিতে বোর্ড অফ ডিরেক্টর হিসেবে তিনি যোগদান করেন ২০০৪ সালে। |
৪. কোম্পানির সিইও হিসাবে প্রতিবছর তিনি শুধুমাত্র এক ডলার বেতন নেন। |
৫. বছরে এক ডলার বেতন নেওয়া সিলিকন ভ্যালির একটি ট্রেন যা তিনি ফলো করেন। |
৬. তারা আয় এর বেশিরভাগ অংশ আসে টেসলা থেকে। |
৭. তিনি বেতন এর পরিবর্তে কোম্পানির স্টক এবং অন্যান্য খাত থেকে সুযোগ-সুবিধা নিয়ে থাকেন। |
৮. মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি বেসিক ল্যাঙ্গুয়েজ প্রোগ্রামিং শিখে ব্লাস্টার নামে একটি গেম তৈরি করেছিলেন। |
৯. ব্লাস্টার গেমটি তিনি ৫০০ ডলারে বিক্রি করেছিলেন। |
১০. বর্তমানে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার এই তিন দেশের নাগরিক। |
১১. তার প্রতিষ্ঠা করা প্রথম কোম্পানি Zip-2 তিনি ৩০৭ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করেছিলেন। |
১২. টেসলাতে তিনি একই সঙ্গে সিইও আর চিফ প্রোডাক্ট আর্কিটেক্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। |
১৩. টেসলা কোম্পানির জনপ্রিয় গাড়ির মডেল S American সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন হতে ৫ এর মধ্যে ৫.৪ রেটিং পেয়েছিল যা ছিল রেকর্ড ব্রেকিং রেটিং। |
১৪. মাস্কে অনেকে মজা করে থ্রিলিয়নেয়ার বলে ডাকেন। |
১৫. তিনি হাইপারলুপ নামে একটি প্রজেক্টে কাজ করছেন। উক্ত প্রজেক্টের উদ্দেশ্য হলো মানুষের ভ্রমণের জন্য একটি সুপারফাস্ট টিউব ক্যাপসুল তৈরি করা। |
১৬. হাইপারলুপ প্রজেক্ট এর জন্য সুরঙ্গ তৈরি করতে বোরিং কোম্পানি নামে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছেন। |
১৭. ২০১৬ সালে তিনি নিউরালিংক নামে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত করেছেন। উক্ত কোম্পানির উদ্দেশ্য হলো কোম্পানি এবং মোবাইলকে মানুষের মস্তিষ্কের সঙ্গে কানেক্ট করা। |
১৮. বিতর্কের জন্ম দিতে তিনি পছন্দ করেন। |
আরো বিস্তারিত তথ্য ও সকল আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজটি ফলো করুন।