Information

ল্যারি এলিসন এর জীবনী

আজকে আমরা আমাদের পোস্টে পৃথিবীর শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে চতুর্থ স্থানে থাকা ধনী ব্যক্তি ল্যারি এলেসন সম্পর্কে আলোচনা করেছি। তার লাইফ স্টাইল, বায়োগ্রাফি, net worth ইত্যাদি নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করে যাচ্ছি।

ল্যারি এলিসন এর জীবনী

প্রিয় Eduinfobd এর পাঠক বৃন্দ কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলে ভালো আছেন। আজকে আমরা আমাদের পোস্টে পৃথিবীর শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে চতুর্থ স্থানে থাকা ধনী ব্যক্তি ল্যারি এলিসন এর জীবনী সম্পর্কে আলোচনা করেছি। তার লাইফ স্টাইল, বায়োগ্রাফি, net worth ইত্যাদি নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করে যাচ্ছি।

ল্যারি এলিসন কে?

Biography of Larry Ellison 1

ল্যারি এলিসন হলো বিশ্বের চতুর্থ শীর্ষ ধনী ব্যাক্তি। তার পুরো নাম হল লরেন্স জোসেফ এলিসন। তবে প্রযুক্তি বিশ্ব তাকে ল্যারি অ্যারিসন নামেই চিনে। ল্যারি এলিসনের Net worth ১১২.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। পড়াশোনার ক্ষেত্রে তিনি তেমন একটা মনোযোগী ছাত্র ছিলেন না। ল্যারি এলিসন এর জীবনী

Bdix কী বাড়িয়ে নিন আপনার WiFi স্পীড

এক নজরে ল্যারি এলিসনের বায়োগ্রাফি

নাম লরেন্স জোসেফ এলিসন।
জন্ম ১৭ আগস্ট ১৯৪৪।
বয়স ৭৮ বছর।
জাতীয়তা আমেরিকান।
পেশা Oracel কর্পোরেশনের সিইও।
পরিচিতির কারণ Oracel কোম্পানির কো ফাউন্ডার।
বার্ষিক আয় ১১২.৭ বিলিয়ন ডলার।

ল্যারি এলিসন এবং তার পরিবার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য

Biography-of-Larry-Ellison-2

ল্যারি ইলিসন ১৯৪৪ সালের ১৭ই আগস্ট আমেরিকার নিউইয়র্কে জন্মগ্রহণ করেন। তার শিক্ষা জীবনে তিনি অত্যন্ত অমনোযোগী একজন ছাত্র ছিলেন। তার স্কুল এবং কলেজ জীবন কোনো ভাবে পার করলেও ইউনিভার্সিটিতে তার শিক্ষা জীবন শেষ সমাপ্ত করতে পারে নি। তিনি University of llinois এবং University of Chicago তে ভর্তি হলেও পরবর্তীতে ড্রপ আউট হয়ে যান। অর্থাৎ ইউনিভার্সিটি জীবন অসমাপ্তই থেকে যায়। ১৯৬৪ সালে তিনি উত্তর ক্যালিফোর্নিয়াতে শিফট হন। ১৯৭০ সালের দিকে Amdal কর্পোরেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করা শুরু করেন। প্রতিষ্ঠানে তিনি মূলত CIA এর ডাটাবেজ তৈরি করতেন। এরপর থেকে তিনি ডাটাবেজ নিয়ে কাজ করতে উৎসাহী হয়ে ওঠেন। ১৯৭৭ সালে এসে তিনি নিজের একটি সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ল্যাবরেটরি তৈরি করেন। যার নাম ১৯৭৯ সালে এসে Oracel রাখা হয়। ৭৮ বছর বয়সী এই ধনী ব্যক্তির দুটি সন্তান রয়েছে।

ল্যারি এলিসন সম্পত্তি

বর্তমানে ল্যারি এলিসন দুই ডজনেরও বেশি সম্পত্তির মালিক। যার মধ্যে সবচেয়ে পপুলার প্রতিষ্ঠানটির নাম হল বিলিয়নিয়ার Beach। ক্যালিফর্নিয়ার মালিবুতে তার যে সম্পত্তি রয়েছে তার আনুমানিক মোট খরচ ২০০ মিলিয়ন ডলারের মত।

Top popular foods in the world

ল্যারি অ্যালিসনের ধনী হবার রহস্য

২০২৩ সালে এসে ল্যারি এলিসন নিজেকে বিশ্বের চতুর্থ ধনী ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেছেন। মূলত তার দূরদর্শী চিন্তাভাবনা ও কঠোর পরিশ্রমের ফলে তিনি আজ এতটা সফল ও ধনী। বর্তমানে তার বার্ষিক আয় ১১২.৭ বিলিয়ন ডলারের মত। Oracel এর সিইও হিসেবে তিনি প্রায় ৬৭,২৬১,২৫১ ডলার পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন।

ল্যারি এলিসন এর পছন্দের স্পোর্টস

Biography-of-Larry-Ellison-3

ল্যারি এলিসন ঝুঁকিপূর্ণ স্পোর্টসগুলোই বেশি পছন্দ করে। এই সকল স্পর্টসে অংশগ্রহণের সময় তিনি বহুবার ইনজুরির মুখোমুখিও হয়েছেন। তার পছন্দের স্পোর্টস এর মধ্যে রয়েছে বডি সারফিং, ইয়াট রেসিং, মাউন্ট বাইকিং। তিনি নিজেকে ঝুঁকিপূর্ণ স্পোর্টসের হার্ডকোর ফ্যান হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকেন। Oracel US তার পছন্দের ইয়াট।

ল্যারি এলিসন এর Oracel ডাটাবেজ সম্পর্কে বিস্তারিত

ল্যারি এলিসন এর প্রতিষ্ঠিত Oracel ডাটাবেজ ৬৩ টি ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় পাওয়া যায়। এর মধ্যে আমেরিকান ইংলিশ ও ব্রিটিশ ইংলিশ ডাটাবেজ অন্যতম।

ল্যারি এলিসন সাফল্যের কাহিনী

Biography-of-Larry-Ellison-4

১৯৭৭ সালে ল্যারি এলিসন ও তার বন্ধু মাইনার মিলে এলিসন সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ল্যাবরেটরিজ (SDL) তৈরি করে। ১৯৭৯ সালে উক্ত প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করে Oracel করা হয়। তিনি তার প্রতিষ্ঠান Oracel কে বাণিজ্যিক রিলেশনাল ডাটাবেজ প্রোগ্রাম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। উক্ত প্রোগ্রামটি ১৯৮২ সালের দিকে এসে অনেক জনপ্রিয়তা পায়। এরপর তাকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। Oracel কোম্পানির হাত ধরে তিনি আজ বর্তমানে শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় যুক্ত হতে পেরেছেন। তবে ২০১৪ সালে এসে Oracel কোম্পানির সিইও এর পদ ছেড়ে দেন। এবং ২০১৮ সালে এসে টেসলাতে যোগদান করেন।

জাতীয় পরিচয়পত্র ভুল সংশোধন ২০২৩

ল্যারি এলিসন সম্পর্কে মজার তথ্য

১. ঝুঁকিপূর্ণ স্পোর্টসের প্রতি তার অনেক নেশা।
২. তার তৈরিকৃত ডাটাবেজ ৬৩ টি ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় উপলব্ধ আছে।
৩. ল্যারি এলিসন একজন ইহুদি বিদ্বেষী। তার মা একজন ইহুদী ছিলেন। কিন্তু তার জন্মের পর তার মা তার ভরণপোষণ এর দায়িত্ব না নিয়ে অন্য একটি পরিবারের কাছে তাকে তুলে দেন। যার ফলে তিনি ইহুদী সংস্কৃতিকে খুব একটা ভালবাসেন না।
৪. ল্যারি এলিসন ব্যয়বহুল জীবন অনেকটা পছন্দ করেন। অনেক মূল্যবান বোট এবং গাড়ির পেছনে তিনি তার বেশিরভাগ অর্থ ব্যয় করে থাকেন।
৫. তার পছন্দের ইয়ট এর নাম Oracel ইউএস।
৬. তিনি ঝুঁকিপূর্ণ বিক্রি কৌশল পছন্দ করেন। ১৯৯৭ তার ঝুঁকিপূর্ণ বিক্রি কৌশলের জন্য Oracel কোম্পানি প্রায় দেউলিয়া হওয়ার পথে চলে গিয়েছিল।
৭. তিনি একজন NBA টিম প্রীতি। তিনি এতটাই NBA প্রীতি যে বর্তমানে একটি NBA স্টেডিয়াম তার নামে কিনে রেখেছেন।
৮. ব্যায় বহুল রেকর্ডে তিনি খুবই পারদর্শী। ২০০৪ সালে আমেরিকার সব থেকে বড় আবাসিক প্রকল্প ডিলের রেকর্ড তিনি ধরে রেখেছিলেন। ২০০৪ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার পাঁচটি বড় আবাসিক প্রকল্প তিনি তার নামে কিনে নেন। যার আর্থিক মূল্য ছিল প্রায় ৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
৯. অ্যাপেলের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের অনুষ্ঠানে ফটোগ্রাফার হিসেবে তিনি ছিলেন।
১০. পৃথিবীর অত্যন্ত সুন্দরতম দ্বীপ LANA-l যা huawei এ অবস্থিত। উক্ত দ্বীপটির ৯৮ শতাংশের মালিক তিনি।
১১. তার প্রতিবেশীর চারটি গাছ তার বাসার সামনের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার সুযোগ নষ্ট করতে। যার ফলে তিনি তার প্রতিবেশীর ৪টি গাছসহ সম্পূর্ণ বাসটিকে কিনে নেন। এবং উক্ত চারটি গাছ কেটে ফেলেন।
১২. তিনি একজন দানবীর হিসেবেও পরিচিত। তার সম্পত্তির প্রায় অর্ধেক তিনি বিভিন্ন সংস্থায় দান করে দিয়েছেন।
১৩. তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে ডিভোর্সের সময় তার স্ত্রী তার কোম্পানির উপর শুধুমাত্র ৫০০ ডলার অর্থের দাবি করেছিল।
১৪. ইলন মাস্কের মতো তিনিও তার বেতন প্রতিবছর শুধুমাত্র এক ডলার করে নিতেন। ২০০৯ সাল থেকে তিনি এমনটা করে আসছিল।

আরো বিস্তারিত তথ্য ও সকল আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজটি ফলো করুন।

Our official Facebook page

EDUINFOBD OFFICIAL

Related Articles